“এটা ওর 'মন কি বাত'।” সহজ বাংলা করলে দাঁড়ায়, এটা মেলোনির মনের কথা। বক্তা নরেন্দ্র মোদী।
নিজের অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এর কথা মাথায় রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বন্ধু ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির আত্মজীবনী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন। বইটির ভারতীয় সংস্করণ খুব দ্রুত প্রকাশিত হতে চলেছে। সেই বইটির ভূমিকা লিখেছেন মোদী।
মোদী লেখেন, এই বইটির ভূমিকা লিখতে পারা তাঁর জন্য বড় সম্মানের বিষয়। এই ভূমিকা তিনি 'সম্মান, শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ব'-এর উপর ভিত্তি করেই লিখেছেন। মেলোনিকে তিনি একজন 'দেশপ্রেমিক ও অসাধারণ সমসাময়িক নেতা' বলে মনে করেন।
এই বইয়ের ভূমিকায় মোদি জানান, শেষ ১১ বছরে ধরে তিনি বিভিন্ন বিশ্বনেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের জীবনযাত্রা আলাদা। আর সেই সব পরিচয় নানা স্বাদের গল্প জানায়। নতুন অভিজ্ঞতার সাক্ষী করে তোলে।
তিনি ভূমিকায় লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী মেলোনির জীবন ও নেতৃত্ব আমাদের চিরন্তন কিছু সত্য কথা মনে করিয়ে দেয়… ভারতে এই বইটিকে অনুপ্রেরণাদায়ক এক রাজনৈতিক নেত্রীর গল্প হিসেবে খুব ভালোভাবেই গ্রহণ করা হবে। তার সংস্কৃতি রক্ষার দৃঢ় বিশ্বাস এবং সমানভাবে অংশগ্রহণ করার মানসিকতা আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গেই মিলে যায়।'
মোদী মেলোনির প্রশংসা করে জানান, তাঁর অনুপ্রেরণাদায়ক ও ঐতিহাসিক জীবন অবশ্য়ই ভারতীয়ের মনে দাগ কাটবে। যার ফলে বইটি ভারতীয় পাঠকদের মধ্যেও সাড়া ফেলবে বলে আশাবাদী তিনি।
এই আত্মজীবনী ইতিমধ্যেই ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূল বইটি লেখা হয়েছিল ইতালিয় ভাষা। সেটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২১ সালে। তখন মেলোনি বিরোধীদলের নেত্রী ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী। তিনিই সেই দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের জুন মাসে বইটির মার্কিন সংস্করণ প্রকাশিত হয়। সেই সংস্করণে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র একটি ভূমিকা লেখেন। সেই লেখায় মেলোনির মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসার বিষয়টি উল্লেখ করা আছে। এখানেই শেষ নয়, তিনি এই আত্মজীবনীটিকে দেশপ্রেমিক এক আন্দোলনের অকৃত্রিম কাহিনি হিসেবে মনে করেন।
তাঁর আত্মজীবনীতে তাঁর লড়াইয়ের উল্লেখ রয়েছে। তিনি কীভাবে একজন নারী হিসেবে, একজন অবিবাহিত মা হিসেবে নানা কুৎসার সম্মুখীন হয়েছিলেন, সেটা জানানো হয়। এছাড়া মেলোনির জীবনের সমস্ত দিকটাই এই বইতে লেখা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।