Moscow Airport Drone Attack: মস্কোতে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, দেশের রাজধানীর বিমানবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে। রাতের অন্ধকারে এই ড্রোন হামলায় দু'টি অফিস ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সেই কারণে বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
'মস্কোর ভনুকোভো বিমানবন্দরের ডিপারচার এবং অ্যারাইভাল সেকশন বন্ধ রয়েছে। উড়ানগুলি অন্য বিমানবন্দরে রিডাইরেক্ট করা হয়েছে,' রিপোর্টে জানিয়েছে TASS৷ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এমনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন এই বিষয়ে টেলিগ্রামে পোস্ট করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'মস্কোতে রাতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা করেছে। তাতে দুইটি অফিস ব্লক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শহরের দুইটি অফিস টাওয়ারের সামনের অংশ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত বা আহত হয়নি,' টেলিগ্রামে পোস্ট করে জানিয়েছেন মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন।
'সন্ত্রাসবাদী হামলা'
এটিকে একটি সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে অভিহিত করছে রাশিয়া। তারা জানিয়েছে, একটি ড্রোনকে গুলি করে ধ্বংসও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও দুইটি ড্রোনকে নিষ্ক্রিয় করেছে তারা। নিষ্ক্রিয় হয়ে ড্রোন দু'টি একটি বিল্ডিং কমপ্লেক্সে এসে আছড়ে পড়ে।
WATCH: Drone hits apartment building in Moscow as woman sleeps pic.twitter.com/XLQg8xasYZ
— BNO News (@BNONews) July 30, 2023
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও এই বিষয়ে টেলিগ্রামে পোস্ট করেছে। 'মস্কোতে মনুষ্যবিহীন বিমান দিয়ে কিয়েভ সরকার সন্ত্রাসবাদী হামলার চেষ্টা করেছে। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে,' লিখেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
"মস্কোর নিকটস্থ ওডিনসোভো জেলায় একটি ইউক্রেনীয় ইউএভি আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে,' জানিয়েছে রাশিয়া।
অন্যদিকে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে আরও দুইটি ড্রোন নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। এরপর সেগুলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মস্কোর এক অফিস কমপ্লেক্সে ভেঙে পড়ে। তবে রাত হওয়ায় সেই সময়ে অফিসে তেমন লোক ছিল না। ফলে হতাহতের সম্ভাবনা এড়ানো গিয়েছে।
ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে মস্কোর দূরত্ব প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মাইল)। ফলে সেখানে ড্রোন হামলা চালানো খুব কঠিন কিছু নয়। তবে চলতি বছরের আগে পর্যন্ত সেখানে সেভাবে হামলা চালায়নি ইউক্রেন। সেদেশে যখন পুরোদমে রাশিয়া আক্রমণ হানছে, তখনও এমন কঠিন পথে হাঁটেনি তারা। তবে ২০২৩-এ ছবিটা বদলে গিয়েছে। চলতি বছর বেশ কয়েকবার এমন ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
ক্রেমলিন এবং ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে পরপর বেশ কয়েকটি রুশ শহর রয়েছে। সেখানে একাধিক ড্রোন হামলা ঘটেছে। একের পর এক হামলার জন্য মস্কো কিয়েভকে দায়ী করেছে৷
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারও রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে দক্ষিণ রোস্তভ অঞ্চলে দু'টি ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র রুখে দেয়। তবে তাগানরোগ শহরে তার ধ্বংসাবশেষ এসে পড়ে। এর ফলে প্রায় ১৬ জন আহত হন।