একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। শুধু তাই নয়, রাজধানীর অলিতে-গলিতে গুলির শব্দও মিলেছে বলে খবর স্থানীয় এবং বিদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে। যদিও এই হামলায় কতজন প্রাণ হারিয়েছে বা আহত, সেই তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে, আকাশপথেই হামলা চালানো হয়েছে কাবুলের উপর। কিন্তু সেই এয়ারক্রাফ্ট বা যুদ্ধবিমানগুলিকে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল মনে করছে যে এর পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের হাত। তারাই এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সরকারিভাবে এখনও তেমন কোনও দাবি করা হয়নি।
তদন্ত চলছে বলে খবর
এই হঠাৎ বিস্ফোরণগুলি নিয়ে যে আফগান সরকার চিন্তিত, সেটা জানা গিয়েছে তাদের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। কিছু সংবাদ মাধ্যম দাবি করে, আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালিবান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরণগুলির নেপথ্য কারা রয়েছে, সেটা জানতে চলছে তদন্ত। খুব শীঘ্রই সেই তদন্তের ফলাফল সামনে আসবে।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্কে চলছে চাপানউতোর
তালিবান সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে আফগান ও পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বেড়েছে সংঘাত। সম্প্রতি এই নিয়ে পরিস্থিতি খুব উত্তপ্ত হয়। দুই দেশের সেনাই সীমান্তে একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ দাবি করেন, আফগানিস্তানের সরকার তাদের থেকে টাকা চেয়েছে। সেই টাকাটা দিলেই তেহেরিকি তালিবান পাকিস্তানের মতো জঙ্গি সংগঠনকে সীমান্ত থেকে দূরে রাখা হবে। নইলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
আসিফের আরও দাবি, আফগানিস্তানের অন্তবর্তী সরকার এই ধরনের জঙ্গি সংগঠনকে মদত দেয়। তাদের দেশের ভিতর নিরাপদে দেয় আশ্রয়।
যদিও আফগানিস্তান এই ধরনের কোনও অভিযোগই মানতে চায়নি। বরং তারা উল্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই সরব। পাকিস্তানই সন্ত্রাসে মদত দেয় বলে দাবি তাদের।
ভারতে এসেছেন তালিবান প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ভারত সফরে এসেছেন তালিবান সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। এটা তার সরকারি সফর। তার সঙ্গে এসেছেন আরও ৫ জন তালিবান আধিকারিক। তাদের বিমানবন্দরেই উষ্ণ অভ্যর্থনা দেয় সরকার।
এখানে তিনি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর থেকে শুরু করে একাধিক অধাকারিকের সঙ্গে দেখা করবেন বলে খবর। যদিও তিনি ভারতে আসার সময়ই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল। আর নেথথ্যে পাকিস্তান বলে অভিযোগ।