চলন্ত ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরি চালাল ২ আততায়ী, চলন্ত ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরি। শনিবার সন্ধ্যায় ব্রিটেনের কেমব্রিজশায়ারে ঘটল ভয়াবহ ঘটনা। ট্রেনের মধ্যে হঠাৎ ছুরি নিয়ে হামলা চালাল দু’জন। রক্তাক্ত হলেন একাধিক যাত্রী। পরে সশস্ত্র পুলিশ ট্রেন থামিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে।
ট্রেন থামল হান্টিংডনে
শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, কেমব্রিজশায়ারের এই ট্রেনে একাধিক মানুষকে ছুরি মারা হয়েছে বলে খবর আসে। তৎক্ষণাৎ ছুটে যায় পুলিশের স্পেশাল টিম। সশস্ত্র বাহিনী হান্টিংডন স্টেশনে পজিশন নেয়। ট্রেন থামতেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বড়সড় পুলিশি অভিযান
কেমব্রিজশায়ার কনস্ট্যাবিউলারি জানিয়েছে, ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত করছে। ঠিক কীভাবে ট্রেনের ভিতরে এমন হামলা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, 'আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। ট্রেন থামিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।'
প্রাইম মিনিস্টারের পোস্ট
ব্রিটেনের প্রাইম মিনিস্টার কিয়ার স্টার্মার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'হান্টিংডনের ট্রেনের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। সকলকে পুলিশের নির্দেশ মেনে চলার অনুরোধ জানাই।'
পূর্ব ইংল্যান্ড অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস জানিয়েছে, 'আমরা বড়সড় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স, কন্ট্রোল টিম, বিপজ্জনক এলাকা উদ্ধার বাহিনী ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।'
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, 'ক্রিটিক্যাল কেয়ার টিম, ইস্ট অ্যাংলিয়ান এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স এবং হ্যার্টস এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। একাধিক আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ
‘স্কাই নিউজ’-কে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, 'আমি দেখেছি, এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলছেন, ‘ওদের কাছে ছুরি আছে, আমাকে মারা হয়েছে।’'
তিনি আরও বলেন, 'লোকজন আতঙ্কে দৌড়াচ্ছিলেন। কয়েকজনের গায়ে তখনও রক্ত লেগে আছে।'
যোগাযোগ ব্যাহত
এই ঘটনার পর হান্টিংডন শহরের আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। লন্ডন এবং নর্থ ইস্টার্ন রেলওয়ের ট্রেন চলাচলেও বড়সড় প্রভাব পড়ে। জরুরি পরিষেবার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই অংশে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
তদন্ত চলছে
পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলা কেন ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে কোনও সন্ত্রাসবাদী যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে লন্ডন ও কেমব্রিজশায়ার জুড়ে। আহতদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।