শনিবার দিন শেষে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১,৬০০। মায়ানমারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে আতঙ্কের আবহ রাজধানী মান্দালয়ে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বলছেন, শহরের চারদিকে শুধুই উদ্ধারকারী টিম, দমকলবাহিনী, অ্যাম্বুলেন্সের ভিড়। মায়ানমারের তো বটেই, অন্য় দেশ থেকেও উদ্ধারকারী দল এসে হাত লাগিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মৃতদেহ। সব মিলিয়ে যেন এক দুঃস্বপ্নের শহরে পরিণত হয়েছে পর্যটনের স্বর্গরাজ্য।
এক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট, মায়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্ত ১,৬৪৪ জনেরও বেশি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েচে।
৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে রাস্তাঘাট, সেতু এবং বিভিন্ন বিল্ডিং, হাসপাতাল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক এলাকায় রাস্তা বা সেতুর মাঝে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এর ফলে সেখানে বড় গাড়ি নিয়ে পৌঁছানোও দুষ্কর। এসব কারণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী টিমদের।
মায়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের পরিস্থিতিও শোচনীয়। জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ব্যাংককে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার অভিযান চলছে। পর্যটন ব্যবসার কারণেই সেখানে একের পর এক উঁচু বিল্ডিং। এমনই এক আকাশচুম্বী বিল্ডিং ধসে প্রায় ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।সূত্রের খবর, ধ্বংসস্তূপের আড়ালে এখনও ৪০ জনেরও বেশি আটকে থাকতে পারেন।
ভারত ও চিন সাহায্য পাঠিয়েছে
ভারত ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য একটি মেডিকেল ইউনিট এবং উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। কম্বল, ত্রিপল, হাইজিন কিট, স্লিপিংব্যাগ, সোলার ল্যাম্প, খাবারের প্যাকেট এবং রান্নার সেটের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও পাঠানো হয়েছে।
চিনের ইউনান প্রদেশ থেকে ৩৭ সদস্যের একটি দল মায়ানমারের রাজধানী পৌঁছেছে। চিকিৎসা সরঞ্জাম, ড্রোন ও অন্যান্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে উদ্ধারে সাহায্য করছে বেজিং।