নেপালের প্রেসিডেন্টের বাড়িতে ঢুকে পড়লেন আন্দোলনকারীরা। ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌড়েলের বাসভবনে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে তবে ক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীরা শাসক দল নেপালি কংগ্রেসের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
VIDEO | Kathmandu, Nepal: Protesters put the ruling Nepali Congress party's office on fire.#NepalProtests #KathmanduProtest
— Press Trust of India (@PTI_News) September 9, 2025
(Full video available on PTI Videos - https://t.co/n147TvrpG7) pic.twitter.com/eeeISoqOTm
নেপালে স্বতন্ত্র পার্টির ২১ জন সাংসদ গণহারে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবি লামিছানের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে জয়ী এই দলটি শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সমর্থনে ছিল।
বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে, এলাকা থেকে ভাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্নীতি ও সরকারি নীতির বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ অব্যাহত। গণতন্ত্র নয়, রাজতন্ত্র চাইছেন যুব আন্দোলনকারীরা।
সোমবার থেকে জ্বলছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। সোমবার নেপালে জেন-জি বিক্ষোভের সময় ১৯ জনের মৃত্যুর পর, জল সরবরাহ মন্ত্রী প্রদীপ যাদব তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেছেন, "এই ধরনের ঘটনার পরে সরকারে থাকা ঠিক নয়।"
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দলের নেতা রঘুবীর মহাসেঠ এবং মাওবাদী সভাপতি প্রচণ্ডের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক, কৃষিমন্ত্রী রামনাথ অধিকারী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সহ পাঁচজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে, প্রধানমন্ত্রী ওলি চিকিৎসার জন্য দুবাই যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মতো একই পথে হাঁটছে নেপাল। শাসক দলকে সরিয়ে রাজার শাসন ফেরাতে চান জেন-জি আন্দোলনকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান করা থেকে যে আগুনের আঁচ ছড়ায়, তা ক্রমে রাজতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে বদলে যায়। ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ, জ্বলে আগুন।