Nepal Sushila Karki: 'মোদীজি আমার অনুপ্রেরণা,' নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ভারতকে পাশে চাইলেন সুশীলা

আজ অর্থাত্‍ বৃহস্পতিবার নেপালের সেনাপ্রধান ও সুশীলা কার্কির বৈঠক হচ্ছে। তাঁরা বৈঠকের পরে দুজনেই দেখা করবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। রাষ্ট্রপতিকে বর্তমানে জনরোষের কবল থেকে বাঁচাতে সেনা ব্যারাকে রাখা হয়েছে। 

Advertisement
'মোদীজি আমার অনুপ্রেরণা,' নেপালের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ভারতকে পাশে চাইলেন সুশীলাসুশীলা কার্কি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
হাইলাইটস
  • নেপালের সেনাপ্রধান ও সুশীলা কার্কির বৈঠক
  • মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ কার্কি
  • ভারতকে পাশে চাইছেন কার্কি

নেপালে এবার নতুন সরকার গঠনের তো়ড়জোড় শুরু হচ্ছে। রক্তক্ষয়ী হিংসায় কেপি শর্মা ওলি সরকারের পতনের পরে Gen Z বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে যে কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল, আগামী ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন। এই অন্তর্বর্তী সময়ে বাংলাদেশের মতো নেপালেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেতে চলেছেন নেপালের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। আনুষ্ঠানিক ভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করলেন সুশীলা কার্কি। 

নেপালের সেনাপ্রধান ও সুশীলা কার্কির বৈঠক

আজ অর্থাত্‍ বৃহস্পতিবার নেপালের সেনাপ্রধান ও সুশীলা কার্কির বৈঠক হচ্ছে। তাঁরা বৈঠকের পরে দুজনেই দেখা করবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। রাষ্ট্রপতিকে বর্তমানে জনরোষের কবল থেকে বাঁচাতে সেনা ব্যারাকে রাখা হয়েছে। 

মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ কার্কি

কার্কি বললেন, 'মোদীজিকে নমস্কার। আমার উপর মোদীজির প্রভাব খুবই ইতিবাচক।' একটি সাক্ষাত্‍কারে কার্কি জানালেন, তিনি নেপালের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। Gen Z গোষ্ঠী আমার উপর ভরসা রেখেছে। কম দিনের জন্য হলেও একটি স্থায়ী সরকার গঠনে গুরুদায়িত্ব। কার্কির কথায়, 'আমার প্রাথমিক কর্তব্য হবে, সেই সব বিক্ষোভকারীদের প্রতি সম্মান জানানো, যাঁরা প্রাণ দিলেন। আমার প্রথম কাজ হবে এই প্রতিবাদে মৃতদের পরিবারগুলির জন্য কিছু করা।'

ভারতকে পাশে চাইছেন কার্কি

নেপালের পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি ভারতকে ভীষণ সম্মান করি। ভালোবাসি ভারতকে। মোদীজির কাজে আমি অনুপ্রাণিত। ভারত বরাবর নেপালে অনেক সাহায্য করেছে।'নেপালের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, শুরু থেকেই সমস্যা ছিল। এখন পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে গিয়েছে। আমরা নেপালের উন্নয়নের জন্য কাজ করব। দেশকে নতুন ভাবে গড়া হবে।

নেপালের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি ছিলেন সুশীলা কার্কি। ২০১৬ সালে তিনি নেপালের প্রধান বিচারতি ছিলেন। কিন্তু সরকারের কাজে নাক গলানোর অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট আনা হয়েছিল। সেই সময় নেপালের সুপ্রিম কোর্ট কার্কির ইমপিচেন্ট প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। স্বস্তি পান তিনি।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement