নাটকীয় বড়দিন নেপালে! দুপুরে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে শের বাহাদুর দেউবার রাস্তা সাফ দেখা যাচ্ছিল। বেলা গড়াতেই জোট জোটের বৈঠক ছেড়ে রেগে বেরিয়ে যান সিপিএন-মাও সেন্টারের নেতা পুষ্পকমল দহল। জোট ছেড়ে আলাদা হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তার পর সিপিএন -ইউএমএল সমর্থনে নেপালের পরবর্তী প্রধনামন্ত্রী হচ্ছেন পুষ্পকুমল দহল ওরফে প্রচণ্ড।
পুষ্পকমল দহলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন নেপালের রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টেয় শপথগ্রহণ করবেন পুষ্পকমল দহল। তার আগে রাষ্ট্রপতিকে সমর্থনপ্রাপ্ত সাংসদদের তালিকাও পাঠিয়েছেন। মোট ১৬৫ জন সাংসদ তাতে হস্তাক্ষর করেছেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে প্রচণ্ডের দলের। দুই দল থেকেই ভাগাভাগি করে হবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রচণ্ডের দাবি মেনে তাঁকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সায় দিয়েছেন ওলি। তাই এখন প্রচণ্ডই হচ্ছেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী। পরের দফায় প্রধানমন্ত্রী হবেন ওলি।
রবিবার সকালেই মতানৈক্যের কারণে নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দলের জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রচণ্ড। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রিত্ব দিতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী তথা নেপাল কংগ্রেসের প্রধান শের বাহাদুর দেউবা। জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান পুষ্পকমল। তার পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ওলির বাসভবনে বৈঠকে বসে প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন সিপিএন-এমসি। প্রচণ্ডর দাবি মেনে নেন ওলি। প্রথম দফায় তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করতে রাজি হন তিনি। ২৭৫ আসনের নেপাল সংসদে ১৬৫ জন সাংসদের সমর্থন রয়েছে প্রচণ্ড ও ওলির জোটের পক্ষে। নেপালের সংবিধানের ৭৬ (২) ধারা মেনে ১৬৫ জন সাংসদ জোটের সমর্থনে সই করেছেন। প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে সেই স্বাক্ষরপত্র।
আরও পড়ুন- চিনে ২০ দিনে COVID আক্রান্ত ২৫ কোটি! স্বাস্থ্য বিভাগের নথি ফাঁসে চাঞ্চল্য