নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে জানালেন নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি। জেন জি বিপ্লবের পর তিনি প্রথমবার দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন।
এই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী কার্কি জানিয়েছেন যে, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটার সংক্রান্ত নানা নিয়ম সংশোধনের একটি আদেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, দেশের জেন জি-এর দাবি অনুসারে ভোটার তালিকায় নাম তোলার সময়সীমা এক মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
১৬ বছরে ভোটাধিকার দেওয়া হবে?
জেন জি আন্দোলনের পর থেকেই ১৬ বছর বয়সীদের ভোটাধিকার দেওয়ার দাবি উঠছিল। আর সেই দাবিটি পৌঁছে যায় কার্কির কানে। আপাতত তিনি ১৬ বছরে ভোটাধিকারের দাবিটি বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছেন।
বিদেশে থাকা নাগরিকদেরও দেওয়া হবে ভোটাধিকার
বিদেশে বসবাসরত নেপালি নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়েও ভাবছেন সুশীলা কার্কি। সেই অনুযায়ী, আইন সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে বলে তিনি নিজে জানিয়েছেন।
বিদেশে বসবাসকারী নেপালি নাগরিকদের তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, 'দেশের বাইরে থাকা নেপালি নাগরিকদের ভোটাধিকার দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেই মতো সরকার আইন সংশোধন আনবে।'
দেওয়া হয়েছে তদন্তের নির্দেশ
নিজের বক্তব্যে নেপালের অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী জানান, জেন জি আন্দোলনের সময় বিভিন্ন নেতার বাড়ি থেকে অর্থ উদ্ধার হয়েছে। সেই সবের তদন্ত হবে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব মানি লন্ডারিং ইনভেস্টিগেশনকে। সেই রিপোর্টও দ্রুত সামনে আসবে।
সবার নজর রয়েছে সুশীলার উপর
কিছুদিন আগেই জেন জি আন্দোলনে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। মূলত দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন চালিয়েছিল জেন জি-রা। সেই দেশের তদানিন্তন বাম সরকারকে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে নতুন প্রজন্ম। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে পদত্যাগ করতে হয়। এমনকী পালাতে হয় দেশ ছেড়ে।
তার পর কে হবেন দেশের অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী, সেটা নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনা। উঠে আসে একাধিক নাম। তবে শেষমেষ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সুশীলা কার্কি নির্বাচিত হন দেশের প্রধান হিসাবে।
এর পরই সুশীলা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জোর বার্তা দেন। আর আজ সেই কথারই মোটের উপর পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি। জাতির উদ্দেশে ভাষণে নানা সংশোধন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের আশ্বাস দিলেন। এখন গোটা দেশই মোটের উপর তাঁর দিকে তাকিয়ে। তিনি নিজের কথা রাখতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।