
পুজোর কটা দিন চেনা ছন্দে রয়েছে বাংলা। শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই পুজোর ধুম। সকলেই মাতৃবন্দনায় ব্যস্ত। তাই তো প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে লম্বা ভিড়। বৃষ্টি বা ভ্যাপসা গরম, কিছুই তোয়াক্কা করছে না মানুষ।
তবে সকলের পক্ষে তো পুজোর সময় বাড়ি ফেরা সম্ভব হয় না। তাঁদের নানা কারণে প্রবাসেই পুজোর সময় কাটাতে হয়। কিন্তু তাই বলে কি সেখানে পুজোর আমেজ মিলবে না? আলবাত মিলবে। প্রবাসী বাঙালিরা মিলেই তো বিদেশ বিভুঁইতে অসংখ্য পুজো করেন। আর তেমনই একটি পুজো হল মার্কিন মুলুকের নিউ জার্সির ত্রিনয়নীর দুর্গাপুজো। এখানে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিরা মিলেই করেন এই পুজো।
প্রসঙ্গত, এ বার তাঁদের থিম হল রাজস্থান। এখানে ৪ এবং ৫ অক্টোবর পুজো হবে বলে জানা গিয়েছে।
পুজো কমিটির কথায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় থেকেই বাঙালি চরৈবতির মন্ত্রে দীক্ষিত। বিশেষত, ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেকেই পুজোর ছুটিকে বেছে নেন। আর সেই বাঙালিয়ানাকে ষোলোআনা উদযাপনের মধ্যে দিয়েই আমাদের ত্রিনয়নীর সদস্যদের আনন্দ। তাই আমাদের দুর্গোৎসব পূর্ণতা পায় কখনো সত্যজিৎ আর বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালির যাত্রায়। আবার কখনও আমরা ফিরে যাই কৈশোরের স্মৃতির হাত ধরে ভালোবাসার 'কলকাতায়।
এ বারের পুজোয় অবশ্য থিম রাজস্থান। সেই কারণে উট, হাতি আর ময়ূর ও রাজস্থানি রাজপ্রাসাদে ঢেকেছে এখানকার মণ্ডপ। সবমিলিয়ে নিউ জার্সিতে উঠে এসেছে এক টুকরো রাজস্থান।
ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে পুজোর থিম ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতে পুজোর সাফল্যের বার্তা দিয়েছেন শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, টোটা থেকে শুরু করে অনেক বিশিষ্টজন।
পুজোর পাশাপাশি এখানে অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকছেন বাঙালি গায়িকা অন্বেষা দত্ত।
পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, অনেক পরিশ্রমের ফসল এই পুজো। তাই আমেরিকায় উপস্থিত প্রবাসী বাঙালিরা যাতে এখানে আসেন, সেটা তাঁরা চান।
আশা করা হচ্ছে, প্রতিবারের মতো এ বারও সাড়া ফেলবে এই পুজো। হবে ভিড়। সেই সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেওয়াও চলবে। তার মাধ্যমেই পুজো উপভোগ করবেন নিউ জার্সিতে উপস্থিত বাঙালিরা।