ইয়েমেনের নাগরিক তালাল আবদো মাহদি হত্যার দায়ে নিমিশা প্রিয়ার ফাঁসির সাজা দাবি করা হচ্ছে। বুধবার, ১৬ জুলাই তার ফাঁসির কথা ছিল, তবে স্থগিত রাখা হয়। তবে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার মাহদির ভাই আবদেল ফাত্তাহ মাহদি শেষ মুহূর্তে ফাঁসি স্থগিত করার বিষয়ে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। বলেছেন, যারা ফাঁসি রুখতে চেয়েছিলেন তারা খুব ভালো করেই জানেন যে পরিবার কোনও পরিস্থিতিতেই আপস করতে প্রস্তুত নয়।
অনলাইনে একটি পোস্টে, মাহদির ভাই লিখেছেন, 'যারা মৃত্যুদণ্ড আটকাতে চাইছেন তারা খুব ভালো করেই জানেন পরিবার আপস করবে না। মধ্যস্থতা এবং আপস করানোর ক্ষেত্রে এখন যা হচ্ছে তা নতুন বা আশ্চর্যজনক নয়। এই মামলায় মধ্যস্থতার জন্য প্রচুর প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের উপর চাপ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তাতে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়নি।'
আবদোর ভাই চান কেবল প্রতিশোধ
আবদো আগেই ঘোষণা করেছিলেন, নিমিশা প্রিয়াকে ১৬ জুলাই সকাল ৯টায় ফাঁসি দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তার ফাঁসি আরও কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে নিমিশার পরিবার মাহদির পরিবারের সঙ্গে কথা বলার এবং অর্থের বিনিময়ে, অর্থাৎ রক্তের বিনিময়ে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আলোচনা করার সময় পেয়েছিল।
কিন্তু মাহদির ভাইয়ের কঠোর অবস্থান দেখে, পরিবার 'ব্লাড মানি'-র জন্য রাজি হবে কিনা তা বলা কঠিন। মাহদি তার পোস্টে নিমিশা প্রিয়ার ফাঁসি দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন। বলেন, 'রক্ত কেনা যায় না, ন্যায়বিচার ভুলে যাব না। যত দূর যেতে হয়য় যাব, তবে শাস্তি হবেই।'
শেষ মুহূর্তে নিমিশা প্রিয়ার ফাঁসি কীভাবে বন্ধ হল?
নিমিশা প্রিয়ার ফাঁসি ১৬ জুলাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেরালার একজন বিশিষ্ট মুসলিম ধর্মগুরুদের হস্তক্ষেপের কারণে ফাঁসি স্থগিত করা হয়েছিল। কেরল জামে-ইয়্যাতুল উলামের সাধারণ সম্পাদক, ভারতে গ্র্যান্ড মুফতি নামেও পরিচিত ৯৪ বছর বয়সী কাঁথাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ারের প্রচেষ্টায় ১৬ জুলাই নিমিশার জীবন রক্ষা পায়। ইয়েমেনের প্রভাবশালী সুফি ধর্মগুরুদের সঙ্গে কাঁথাপুরমের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে।
১১ জুলাই কেরালার বিধায়ক চান্ডি ওমেন নিমিশার মৃত্যুদণ্ড যাতে এখনই না হয় সেই চেষ্টা শুরু করেন। কাঁথাপুরম ইয়েমেনি সুফি পণ্ডিত শেখ হাবিব উমর বিন হাফিজের কাছে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।