মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে ফের নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্প দাবি করেন,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ফোনে আশ্বস্ত করেছেন, ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। তবে ভারত সরকার এই দাবি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ট্রাম্পের মধ্যে সাম্প্রতিক কোনও ফোনালাপ হয়নি। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ' গতকাল দুই নেতার মধ্যে এমন কোনও কথোপকথন বা ফোনালাপ হয়েছে বলে আমার জানা নেই।'
ফোন কল সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই: MEA-র প্রতিক্রিয়া
বুধবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে ফোনে আশ্বস্ত করেছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। ট্রাম্প বলেন, 'মোদী আজ আমাকে বলেছেন, তিনি রাশিয়া থেকে তেল কিনবেন না। এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এখন আমাদের চিনকেও একই কাজ করার জন্য রাজি করাতে হবে।'
#WATCH | Delhi | On US President Trump’s statement over purchase of Russian oil by India, MEA Spokesperson Randhir Jaiswal says, "... On the question of whether there was a conversation or a telephone call between Prime Minister Modi and President Trump, I am not aware of any… pic.twitter.com/CqjfqCEO0p
— ANI (@ANI) October 16, 2025
তবে, যখন এই বিবৃতি সামনে আসে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। মন্ত্রক ট্রাম্পের দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয়। বলা হয়, এই ধরণের কোনও ফোন কল বা কথোপকথন হয়নি। এই বিবৃতি ট্রাম্পের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
রাশিয়ার তেলের ব্যাপারে ভারতের নীতি কী?
চিনের পরে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাশিয়ান জীবাশ্ম জ্বালানির ক্রেতা। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (CREA) এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারত রাশিয়া থেকে সস্তা অপরিশোধিত তেলের ক্রয় বাড়িয়েছে, যার ফলে জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভারতের অবস্থান স্পষ্ট, 'আমরা আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিই এবং যেকোনও দেশ থেকে সস্তায় জ্বালানি কেনার অধিকার সংরক্ষণ করি।'
ভারত তার স্বাধীন নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছে
বিদেশ মন্ত্রক (MEA) ট্রাম্পের বক্তব্যকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে এবং ইঙ্গিত দিয়েছে, ভারত কোনও বহিরাগত চাপের অধীনে তার বৈদেশিক ও জ্বালানি নীতি অনুসরণ করে না। ভারত বারবার বলেছে, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি জাতীয় স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, কোনও তৃতীয় দেশের অনুমোদনের ভিত্তিতে নয়।