বিশ্বজুড়ে ৭-৭টা যুদ্ধ থামানোর দাবি! নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য কার্যত কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু, তিনি পেলেন না! পেলেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী তথা মানবাধিকার কর্মী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রাপক হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেই মারিয়া প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পুরস্কারটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎসর্গ করলেন। তার কারণও ব্যক্ত করেছেন। মারিয়ার মতে, ভেনেজুয়েলার দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
মারিয়া বলেন,'ভেনেজুয়েলার সংগ্রাম স্বীকৃতি পেয়েছে। তা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে সহায়তা করবে। আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের উপর ভরসা বেড়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, মার্কিন জনগণ, ল্যাটিন আমেরিকার মানুষ এবং বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলির। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তাঁরা আমাদের বন্ধু। এই চেষ্টায় পাশে পাওয়ার জন্য ভেনেজুয়েলার জনগণ এবং রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পকে এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি'।
চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের তালিকায় ছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। শেষপর্যন্ত পুরস্কার পেলেন ভেনেজ়ুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়া। নোবেল কমিটির বক্তব্য, ভেনেজ়ুয়েলার বিরোধীদলকে এককাট্টা করেছেন মারিয়া। অবাধ নির্বাচন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের দাবি করেছেন। সে কারণে শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।নরওয়েজিয়ান নোবেল পুরস্কার কমিটির সচিব ক্রিশ্চিয়ান বার্গ পুরস্কার ঘোষণার আগে ব্যক্তিগতভাবে মারিয়াকে ফোন করে সে কথা জানান। তার একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মারিয়াকে ফোন করে ক্রিশ্চিয়ান জানান, এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। যা শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। মারিয়া অভিভূত হয়ে পড়েন। তাঁর প্রথম কথা ছিল,'ওহ মাই গড, ওহ মাই গড।'
মারিয়া যোগ করেন,'আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। তবে আমি আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন যে এটি একটি আন্দোলন। আমি এই বৃহত্তর আন্দোলনের ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। এই পুরস্কার প্রাপক গোটা দেশ। আমি কেবল একজন ব্যক্তি। আমি এর যোগ্য নই। আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি ভেনেজুয়েলার জনগণের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞ। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান। যা তাঁদের প্রাপ্য'।