
ট্রাম্পের মাথায় এখন শুধুই শান্তির নোবেল। তাই গাজা শান্তি চুক্তি নিয়ে এত তৎপর তিনি। সেই মতো ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে প্রথম ধাপের শান্তি চুক্তির কাজ এগিয়ে গিয়েছে বলে খবর। আর কাকতালীয়ভাবে এই চুক্তির প্রথম ধাপটি নিয়ে ঘোষণা হয় ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার একদিন আগে। আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ দিন একটি বিশেষ ট্যুইট করা হয়। সেখানে ট্রাম্পকে 'শান্তির রাষ্ট্রপতি' বলে উল্লেখ করা হয়।
আর এমন সময় ট্যুইটের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, 'আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের চুক্তিকে স্বাগত জানাই। এটা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতিফলনও বটে।
আমরা আশা করি পণ্যবন্দিদের মুক্তি এবং গাজার জনগণকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে স্থায়ী শান্তির পথ প্রশস্ত হবে।'
নোবেল শান্তি পুরস্কার দৌড়ে ট্রাম্প?
ট্রাম্প এখন নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে উঠে পড়ে লেগে পড়েছেন। তাঁর মতে, তিনিই সারা বিশ্বের দিকে দিকে চলা যুদ্ধ বন্ধের কাজটি সেরে চলছেন। আর সেই কারণেই বারবার তিনি ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বন্ধের ক্রেডিট নিতে চান। তিনি ছিলেন বলেই এই যুদ্ধ থেমে গিয়েছে বলে মনে করেন।
যদিও এই দাবি কখনওই মানতে চায়নি ভারত। তারা বারবার এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। বরং এটা দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলেই জানান হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। আর এতেই গোঁসা হয় ট্রাম্পের। তিনি ভারতের উপর রেগে বোম হয়ে যান। তার ফলে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। এখনও সেই ক্ষততে প্রলেপ লাগেনি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধেও তিনি বদ্ধপরিকর
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে তো চলছেই। আর সেই যুদ্ধ বন্ধ করতেও ট্রাম্প বারবার আলোচনায় বসেছেন। এমনকী রাশিয়া যাতে আর যুদ্ধ চালাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে ভারতের উপর শুল্ক চাপানো হয়েছে বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও এত কিছু করেও সেই যুদ্ধ থামানো যায়নি।
গাজা শান্তি পরিকল্পনা
ইতিমধ্যেই গাজায় শান্তি ফেরানোর পক্ষে ২০ দফা দাবি পেশ করেন ট্রাম্প। সেই মতো শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকী বোম্বিংও বন্ধ গাজায়। পাশাপাশি প্রথম ধাপে চুক্তিও হয়ে গিয়েছে। তাই এখন নিজেকে শান্তির দূর বলে নোবেলের বাজি ধরতে চাইছেন ট্রাম্প। আর এই দাবি মেনে নিয়ে তাঁকে নোবেলে শান্তি পুরস্কারের জন্য নমিনেট করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।