Kim Jong Un: দিনভর মদে ডুবে থাকেন, একা ঘরে কান্নাকাটি, কী হল কিমের?

খুবই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করছেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন। জানা গেছে, তিনি দিনের বেশিরভাগ সময়ই মদ খেয়ে কাটাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহে ৩৯ বছরে পা দিয়েছেন কিম। দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে ঘরে বন্দি করেছেন তিনি। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছএ। জানা গেছে মিড লাইফ ক্রাইসিসে ভুগছেন কিম। এবং বিভিন্ন অসুখ হয়েছে তাঁর। 

Advertisement
দিনভর মদে ডুবে, একা ঘরে কান্নাকাটি, কী হল কিমের? কিম জং উন।
হাইলাইটস
  • খুবই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করছেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন।
  • জানা গেছে, তিনি দিনের বেশিরভাগ সময়ই মদ খেয়ে কাটাচ্ছেন।

খুবই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করছেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) স্বৈরশাসক কিম জং উন (Kim Jon Un)। জানা গেছে, তিনি দিনের বেশিরভাগ সময়ই মদ খেয়ে কাটাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহে ৩৯ বছরে পা দিয়েছেন কিম। দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে ঘরে বন্দি করেছেন তিনি। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে মিড লাইফ ক্রাইসিসে ভুগছেন কিম। এবং বিভিন্ন অসুখ হয়েছে তাঁর। 

সোল-ভিত্তিক উত্তর কোরিয়ার শিক্ষাবিদ ডঃ চোই জিনউক বলেছেন, কিম তাঁর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগের মুখোমুখি হয়েছেন। আমি শুনেছি তিনি প্রচুর মদ্যপান করার পরে কাঁদছেন। তিনি খুব একা বোধ করছেন। এবং চাপের মধ্যে আছেন।চিকিৎসক কিমকে ব্যায়াম করতে বলেছন। কিন্তু কিম তা করছেন না। 

আরও পড়ুন: Kim Jong Un: ছিপছিপে কিম! নতুন ছবি দেখে হতবাক নেটিজেনরা

২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা দখল করেছিলেন কিম জং উন। ততারপর থেকে স্বৈরশাসক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চক্রান্তের আশঙ্কায় নিজেকে ক্রমশই রহস্যাবৃত করে রেখেছে। দেশের মানুষের কাছে তো বটেই বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তাঁর ওপর নজরদারী চালালেও তিনি নিজেকে স্বাচ্ছন্দ্যে আড়ালে রাখতে পেরেছেন। তাঁর পরমাণু অস্ত্রাগার নিয়ে  আমেরিকার পাশাপাশি পাশ্চাত্যের দেশগুলির যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে। কিন্তু তিনি তাঁদের মোহভঙ্গ করতে রাজি নন। মাঝে মাঝে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরেই পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে দেখেন। বলা ভালে বিশ্ববাশীকে দেখেন তাঁর পরমাণু অস্ত্রাগেরর একটি ছোট্ট নিদর্শন। 

আরও পড়ুন: কিম জং উনের মেয়েও আছে! কী নাম তার?

বাবা কিম ইল জন-এর মৃত্যু হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ সালে। তারপরই উত্তর কোরিয়ার শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু শাসন ক্ষমতা দখলের ৬ বছরের মধ্যে নিজের গতিবিধি উত্তর কোরিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে দেশে অথবা দেশের বাইরে দেখা করেননি। এই সময়টায় তিনি কঠোরভাবে নিজের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেন। তার পথের কাঁটা কাকেই রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে দ্বিধা করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে সৎ ভাই কিম জং ন্যামকে হত্যার অভিযোগও রয়েছে। কুয়ালালামপুর বিমান বন্দরে নার্ভ এজেন্ট দিয়ে ন্যামকে হত্যা করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি একটি সময় উত্তর কোরিয়ার নিষিদ্ধ অস্ত্র কর্মসূচিও দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। সেই দোর্দন্ডপ্রতাপ কিম কী না মদ খেয়ে কান্নাকাটি করছেন!

Advertisement

আরও পড়ুন-'মামা আবার বিয়ে করেছে, থাকছে করাচির বাড়িতে', জেরায় জানালেন দাউদের ভাগ্নে

 

POST A COMMENT
Advertisement