scorecardresearch
 

Nuclear War : অতীতে কোন কোন সময়ে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, জানুন

অতীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যা থেকে পারমণবিক যুদ্ধ লেগে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিবিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে কমপক্ষে ২২ বার এমন ঘটনা ঘটেছে যখন প্রায় পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু ঘটনা। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • পারমাণবিক যুদ্ধে ধ্বংস হতে পারে বিশ্ব
  • অতীতেও কখনও কখনও দেখা দিয়েছে এই পরিস্থিতি
  • জেনে নিন বিস্তারিত

রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই শোনা যাচ্ছে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কার কথা। যদি সত্যিই কখনও পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে বাস্তবিকই ঘোরতর সঙ্কটে পড়বে বিশ্ব। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত কখনও পারমাণবিক যুদ্ধও শুরু হতে পারে, আর সে সম্ভাবনা থেকেও যায়। অতীতেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যা থেকে পারমণবিক যুদ্ধ লেগে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিবিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে কমপক্ষে ২২ বার এমন ঘটনা ঘটেছে যখন প্রায় পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু ঘটনা। 

১৯৬২ সালের ২৫ অক্টোবর মধ্যরাতের একটি ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে যুদ্ধবিমান থামাতে রানওয়েতে ছুটছিল একটি ট্রাক। পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত বিমান আকাশে উড়ে শত্রুকে আক্রমণ করার আগেই শেষ মুহূর্তে সেটিকে থামানো হয়। আসলে, হাই সেনসিটিভ আর্মি এলাকায় একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখে সতর্কতা জারি করেছিলেন এক গার্ড। তিনি ভেবেছিলেন সেটি ইউএসএসআর-এর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে পারে। কিন্তু পরে জানা যায় সেনা এলাকায় দেখা ওই বস্তুটি আসলে একটি ভালুক। এইভাবে সেই যাত্রায় পরমাণু যুদ্ধ থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছিল।

এরকম আরও একটি ঘটনা ঘটে ১৯৯৫ সালে। সেইসময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন পারমাণবিক অস্ত্রের বোতাম টেপার পথেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের ভুল বুঝতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে, তাঁদের বলা হয়েছিল যে নরওয়ের উপকূলে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, যা রাশিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট তৎক্ষণাৎ পাল্টা হামলার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং পারমাণবিক অস্ত্র হামলা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু পরে জানা গেল সেই রকেটটি রাশিয়ার দিকে নয়, সমুদ্রের দিকে যাচ্ছে এবং সেটির থেকে কোনও বিপদ নেই।

১৯৮০ সালে ইউএস এয়ার ডিফেন্স কমান্ডের নজরদারি অফিস থেকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের ডেপুটি প্রতিরক্ষা সচিব পেরিকে বলা হয় যে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র আসছে। নজরদারি চালানো কম্পিউটারের তরফে এই তথ্য জানানো হয়। দ্রুত, ডেপুটি প্রতিরক্ষা সচিব পেরি রাষ্ট্রপতি কার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু ততক্ষণে খবর আসে যে কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে কম্পিউটার এই তথ্য দিয়েছে। ভাবুন তো, ভুল বোঝাবুঝিতে কয়েক মিনিট দেরি হয়ে গেলে এবং সত্যিই পারমাণবিক হামলা হলে কী হতো?

Advertisement

আরও পড়ুনNeem Tree : বাড়িতে নিম গাছ লাগান, পাবেন প্রচুর সুবিধা

 

Advertisement