Pakistan Afganistan Ceasefire: রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শেষে শান্তির পথে? দোহায় সংঘর্ষবিরতিতে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তান

দোহায় শান্তি বৈঠকে বসল পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। আর তারপরেই ফের সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা। রবিবার কাতারের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, দুই দেশই সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। এখনই গুলি ও হামলা বন্ধ করা হবে।

Advertisement
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শেষে শান্তির পথে? দোহায় সংঘর্ষবিরতিতে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তানরবিবার কাতারের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, দুই দেশই সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে।
হাইলাইটস
  • দোহায় শান্তি বৈঠকে বসল পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।
  • । রবিবার কাতারের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, দুই দেশই সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে।
  • গত এক সপ্তাহ ধরেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়ংকর সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দোহায় শান্তি বৈঠকে বসল পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। আর তারপরেই ফের সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা। রবিবার কাতারের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, দুই দেশই সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। এখনই গুলি ও হামলা বন্ধ করা হবে। গত এক সপ্তাহ ধরেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়ংকর সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে, আহত শতাধিক।

কাতারের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, শুধু সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণাই নয়, তা যাতে কার্যক্ষেত্রে টিকে থাকে, সেই লক্ষ্যে শীঘ্রই আরও একটি বৈঠক হবে। সেখানে দুই দেশ সব নিয়ম ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না তাই নিয়ে পর্যালোচনা করবে।

কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেন? কারণ, ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে এমন ভয়াবহ সংঘর্ষ আর হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্বের বাকি দেশগুলিও। আর সেই কারণেই দ্রুত বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার নিষ্পত্তি অত্যন্ত জরুরি ছিল। 

এদিন দোহায় আফগান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ ইয়াকুব। পাকিস্তানের দিক থেকে নেতৃত্ব দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।

পাকিস্তান জানায়, মূলত সীমান্ত শান্ত রাখা ও সন্ত্রাস দমন নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ইসলামাবাদের দাবি, আফগান সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। তাই তালিবান সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

কাবুলের পাল্টা অভিযোগ, পাকিস্তানই নাকি ভুল খবর ছড়াচ্ছে। এমনকি ইসলামাবাদ নাকি ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীকে সাহায্য করছে। তবে পাকিস্তান তা একেবারেই অস্বীকার করেছে।

শুক্রবারই সীমান্তে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে সাত পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। আহত ১৩ জন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির বলেন, আফগান মাটি ব্যবহার করে যারা হামলা চালাচ্ছে, তাদের থামাতে হবে।

সংঘর্ষবিরতির মধ্যেও নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আফগানিস্তানের দাবি, পাকিস্তান নাকি শুক্রবার রাতে বোমা ফেলেছে অসামরিক এলাকায়। তবে কাবুল জানায়, তা সত্ত্বেও তারা পাল্টা আক্রমণ করেনি। শান্তি বজায় রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত।

এই ঘটনার পর আফগানিস্তান পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছে। হামলায় আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে তিন ক্রিকেটার নিহত হয়েছেন।

Advertisement

অন্যদিকে, পাকিস্তান জানিয়েছে, তাদের হামলায় শতাধিক জঙ্গি মারা গিয়েছে। সাধারণ নাগরিকরা কেউ নিহত হননি।

দোহায় এই নতুন সংঘর্ষবিরতি এখন আশার আলো। দুই দেশের মধ্যে ২৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত। সেখানেই বহু দিন ধরে চলছে সংঘর্ষ। এবার যদি এই সংঘর্ষবিরতি টেকে, তবে হয়তো শান্তি ফিরবে পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে।

POST A COMMENT
Advertisement