Pakistan: চিনের সেনা মহড়ার ছবি, মুনির ভারতের বলে চালিয়ে দিলেন, গিফট পেয়ে 'বোকা' শেহবাজ

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের একটি ‘উপহার’ ঘিরে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। রবিবার আয়োজিত একটি উচ্চপর্যায়ের নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-সহ সামরিক ও রাজনৈতিক মহলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
চিনের সেনা মহড়ার ছবি, মুনির ভারতের বলে চালিয়ে দিলেন, গিফট পেয়ে 'বোকা' শেহবাজ
হাইলাইটস
  • পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের একটি ‘উপহার’ ঘিরে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
  • রবিবার আয়োজিত একটি উচ্চপর্যায়ের নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-সহ সামরিক ও রাজনৈতিক মহলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের একটি ‘উপহার’ ঘিরে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। রবিবার আয়োজিত একটি উচ্চপর্যায়ের নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-সহ সামরিক ও রাজনৈতিক মহলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। এই নৈশভোজেই শেহবাজ শরীফকে একটি বিশেষ ছবি উপহার দেন সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি দাবি করেন, এটি ভারতের উপর পাকিস্তানের সাম্প্রতিক আক্রমণের ছবি।

কিন্তু পরে দেখা যায়, ছবিটি আদতে ২০১৮ সালের, চিনের ৭৪তম গ্রুপ পিএলএ-এর একটি সামরিক মহড়ার দৃশ্য। ছবিতে PHL-03 লং রেঞ্জ রকেট সিস্টেম থেকে রাতের আকাশে রকেট ছোড়ার মুহূর্ত ধরা রয়েছে, যা বহুবার চিনের সামরিক প্রচারে ব্যবহার হয়েছে।

আসিম মুনির ওই ছবিকে “অপারেশন বুনিয়ান”-এর সময় ভারতের বিরুদ্ধে হামলার দৃশ্য বলে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য ফাঁস হতেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ট্রোল করতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশ্লেষকেরাও। তাঁর ‘বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পাক সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরেও।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাক সম্পর্ক চরম উত্তেজনার পর্যায়ে পৌঁছায়। ৭ মে ভারত সরকার পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এরপর পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ও আবাসিক স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, ১০ মে উভয় দেশের তরফেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করতে হয়।

এই পটভূমিকায় সেনাপ্রধানের বিতর্কিত ‘উপহার’ যেন নতুন করে পাকিস্তান সেনার পেশাগত দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল। দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে মনোবল জোগানোর উদ্দেশ্যেই এই ছবি উপহার দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হলেও, তা যে শেষ পর্যন্ত প্রহসনে পরিণত হয়েছে, তা বলাই যায়।


 

POST A COMMENT
Advertisement