পাক সেনা জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক ইউনূসের।ঢাকায় পাকিস্তানের সেনা জেনারেল সাহির শমশাদ মির্জার সঙ্গে মিটিংয়ে বসলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। শনিবার রাতে যমুনা স্টেট গেস্ট হাউসে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। বৈঠকে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের সম্পর্ক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা; সব বিষয়েই কথা হয়। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করে।
জেনারেল মির্জা বলেন, 'আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সবরকম সাহায্য করবে।' তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে ইতিমধ্যেই জলপথে যাতায়াত শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই ঢাকা-করাচি ফ্লাইটও চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, দুই দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি আর মানুষের মধ্যে সম্পর্ক খুবই গভীর। পাকিস্তান চায় এই সম্পর্ক আরও মজবুত হোক। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগও অনেক বেড়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে সম্মতি জানান। তিনি বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ, এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় পক্ষের মতেই, এই সংকট দ্রুত কমানো জরুরি। তাঁরা ভুয়ো খবর ও সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারের বিপদ নিয়েও আলোচনা করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৈঠক দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। দীর্ঘদিন পর ঢাকায় কোনও উচ্চপদস্থ পাকিস্তানি জেনারেলের সফর তাই বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলাদেশ পাকিস্তান সম্পর্কের ইতিহাস জটিল হলেও এখন দুই দেশই চাইছে নতুনভাবে এগোতে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রতিরক্ষা, সব ক্ষেত্রেই সহযোগিতার সম্ভাবনা বাড়ছে।