একদিনের মধ্যেই আমেরিকার উপর চটে গেল পাকিস্তান। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে মনোনীত করার পরদিনই ইরানের উপর মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানাল ভারতের পড়শি দেশ। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে ওয়াশিংটনের বোমাবর্ষণ মোটে ভাল চোখে নেয়নি ইসলামাবাদ।
এক্স হ্যান্ডলে করা একটি পোস্টে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'আন্তর্জাতিক আইনের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেছে আমেরিকা।' একইসঙ্গে তাদের সংযোজন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের চার্টার অনুযায়ী, আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে ইরানের।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, 'আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। আমরা আশঙ্কিত। ইরানের বিরুদ্ধে যে হিংসাত্মক আচরণ করা হচ্ছে, তা রীতিমতো অস্বস্তিকর। অবস্থার আরও অবনতি হলে ফল গুরুতর হতে পারে। ইরান সহ বাকি বহু দেশে এর প্রভাব পড়তে চলেছে।'
উল্লেখ্য, ইরানের সঙ্গে ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত পথ শেয়ার করে পাকিস্তান। পড়শি দেশের দমবন্ধ অবস্থার দ্রুত সমাপ্তি চেয়েছে পাকিস্তান। তাদের বক্তব্য, সামরিক হামলা নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। কূটনৈতিক পথই শান্তির একমাত্র হাতিয়ার।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাকিস্তান-প্রেমের কথা আলাদা নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ২০২৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মনোনীত করে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, চলতি বছরে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় ট্রাম্পের ভূমিকাকে তুলে ধরেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ইসলামাবাদ।ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেছে পাকিস্তান। এক বিবৃতিতে পাক সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে, দুই দেশের মধ্যে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেত, যদি না ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করতেন। কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্র ইরানের উপর মার্কিন হামলার নিন্দা স্বার্থের সংঘাতের কারণেই বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ।