'কাল, আজ ও আগামিকাল— আফগানরা সবসময় ভারতের পক্ষেই রয়েছে', বক্তা আর কেউ নন, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এমনই মন্তব্য করেন।
এখানেই শেষ না করে তাঁর আরও অভিযোগ, পাকিস্তানের আগের সরকারগুলো আমেরিকার চাপে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল। এটা একবারেই ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলেই তাঁর মত। এতে আদতে পাকিস্তানের ক্ষতি হয়েছে।
আর তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ভারত সফরের সময় এমন মন্তব্য সত্যিই আলাদা তাৎপর্য বহন করে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এতে আরও একবার প্রমাণ হয় যে ভারত এবং আফগানিস্তান বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে।
আমির খান মুত্তাকি সরকারি সফরে ভারতে এসেছেন
ইতিমধ্যেই ভারতে এসেছেন তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে ভারত সরকারে পক্ষ থেকে। তাঁর সফর এক সপ্তাহের। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আরও ৫ জন তালিবানি আধিকারিক।
এই সফরে আমির খান মুত্তাকি ভারতের একাধিক মন্ত্রী ও অধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে খবর। এই যেমন আজ বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা। পাশাপাশি তিনি আগ্রায় তাজমহল পরিদর্শনে যাবেন বলেও খবর।
আর দিল্লি ও আফগানিস্তানের এই দোস্তি মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তান। তাই তাঁরা বারবার এই বন্ধুত্বকে দোষারোপ করছে।এই সম্পর্ককে ক্ষতিকর অক্ষ বলে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে চাইছেন। তাঁদের মতে, দিল্লির মদতেই আদতে আফগানিস্তান বারাবার পাকিস্তানে গোপনে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। যদিও পাকিস্তানের এহেন উক্তি মানতে চায়নি ভারত বা আফগানিস্তান। উল্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে।
পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়েছে
ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়েছে পাকিস্তানের পরিস্থিতি। পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে চড়েছে বিদ্রোহের সুর। পাশাপাশি নানা জায়গা থেকে মাঝে মধ্যেই হামলার খবর আসছে। বিশেষত, আফগান সীমান্তে বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে পাক সেনা।
আর সেই হামলা প্রতিহত না করতে পেরেই ভারতের উপর দোষ চাপাচ্ছে পাকিস্তান। তাদের মতে, ভারতই ঘুর পথে নানা আফগানি সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করছে। তবে এই কথার যে কোনও ভিত্তি নেই, সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছে ভারত ও আফগানিস্তান।