Pakistan Economic Crisis: সোনার খাজানা পাকিস্তানের হাতে, একদিনেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে, কেন দেরি?

পাকিস্তানের (Pakistan's Economic Crisis) কাছে এই মুহূর্তে আর্থিক সংকট থেকে চট করে বেরিয়ে আসার বিকল্প নেই। কিন্তু এই দেশটির কাছে একটাই আশা বাকি আছে। আর সেটি হল সোনা।

Advertisement
সোনার খাজানা পাকিস্তানের হাতে, একদিনেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে, কেন দেরি?সোনার গদিতে বসে নাকে কাঁদছে পাকিস্তান, এভাবেই ভাগ্য বদলাতে পারে...
হাইলাইটস
  • রেকো ডিক খনিটি বিশ্বের বৃহত্তম সোনা এবং তামার খনিগুলির মধ্যে একটি
  • পাকিস্তানের অর্থনীতি খুব খারাপ পর্যায়ে রয়েছে

পাকিস্তানের (Pakistan's Economic Crisis) কাছে এই মুহূর্তে আর্থিক সংকট থেকে চট করে বেরিয়ে আসার বিকল্প নেই। কিন্তু এই দেশটির কাছে একটাই আশা বাকি আছে। আর সেটি হল সোনা। আসলে সোনা যে কোনও দেশকে অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে বের করে আনতে কাজে আসতে পারে। না, আমরা পাকিস্তানের সোনার রিজার্ভের কথা বলছি না। বরং সে দেশের বালুচিস্তান প্রদেশের (Balochistan Province) সোনার খনিগুলির (Gold Mines) কথা বলছি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই খনিগুলো সম্পর্কে।

এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতি থেকে পাকিস্তানকে উদ্ধারের ক্ষমতা আছে একমাত্র সোনা ও তামার খনিগুলিরই (Gold-Copper Mines)। বালুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত এসব খনিতে শত শত টন সোনা পড়ে আছে। সোনা ও তামার বিশাল ভাণ্ডার পাকিস্তানকে বাঁচাতে পারে। যদিও এই বিপুল সোনার ব্যবহার নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট বা বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে আশা করা যায় এভাবে পাকিস্তান আবার এক ঝটকায় ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। বালুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত রেকো ডিক খনিটি (Reko Diq Mine) বিশ্বের বৃহত্তম সোনা এবং তামার খনিগুলির মধ্যে একটি।

আরও পড়ুন: Pakistan on Kashmir Issue: বিপদে কাশ্মীর নিয়ে পিছু হটছে পাকিস্তান? শাহবাজের সুর নরম

পাকিস্তানের অর্থনীতি খুব খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। তাই শেহবাজ শরিফ সরকার প্যাকেজের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সহ অন্যান্য দেশের সাহায্য চাইছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি পুরনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের আসল সম্পদ রয়েছে এই সোনা ও তামার খনিগুলিতেই। এতে কোটি কোটি টন সোনা ও তামা মজুদ রয়েছে। রেকো ডিক খনি বালুচিস্তানের চাগাই জেলার রেকো ডিক শহরের কাছে অবস্থিত। এই খনিতে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি তামা-সোনার মজুত রয়েছে। একটি হিসেব অনুযায়ী, এখানে প্রায় ৫৯০ কোটি টন খনিজ মজুত রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি টন খনিজে প্রায় ০.২২ গ্রাম সোনা এবং প্রায় ০.৪১ শতাংশ তামা পাওয়া যায়। এই খনিটি ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির কাছে। পাকিস্তান সরকার বিলিয়ন ডলারের সম্পদের এই সোনা ও তামার খনি দিয়ে অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে পারে।

Advertisement

প্রাকৃতিক সম্পদে পূর্ণ বালুচিস্তান

বালুচিস্তান অঞ্চলটি প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এই অংশে এত সোনা আছে যা পাকিস্তানের দারিদ্র্য দূর করতে পারে। ১৯৯৫ সালে রেকো ডিকে প্রথম খনন করা হয়েছিল। প্রথম চার মাসে এখান থেকে ২০০ কেজি সোনা এবং ১৭০০ টন তামা তোলা হয়েছে। সে সময় খনিতে ৪০০ মিলিয়ন টন সোনা থাকতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এই খনিতে বর্তমান সোনার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার বলে জানা গেছে।

খনি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে

গত বছরের মার্চ মাসে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের রেকো ডিক বিশ্বের বৃহত্তম অনুন্নত তামা এবং সোনার মজুতগুলির মধ্যে একটি। ২০১১ সালে পাকিস্তান সরকার খনি প্রকল্পটি স্থগিত করে। এরপর থেকেই তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সংকেতের পরে খনি সম্পর্কে আলোচনা আরাও আলোচনায় উঠে আসে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেকো ডিক খনি প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। নতুন চুক্তির অধীনে, বালুচিস্তান সরকারের এই প্রকল্পে ২৫ শতাংশ এবং অন্যদের ২৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকবে।

পাকিস্তানের সোনার ভাণ্ডার কমে যাওয়া

পাকিস্তানের খনি থেকে সোনা ও তামা উত্তোলন অবশ্য কিছুটা জটিল বিষয়। দেশে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পাশাপাশি সোনার রিজার্ভও ক্রমাগত কমছে। পাকিস্তানের ফরেক্স রিজার্ভ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম এত নীচে নেমে এসেছে। অন্যদিকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দেশটির সোনার রিজার্ভ ছিল মাত্র ৩.৬৪৫ বিলিয়ন।

POST A COMMENT
Advertisement