Donald Trump : পাকিস্তানের সুপারিশে কি নোবেল পাবেন ট্রাম্প-কেন পিস প্রাইজ পেতে এত আগ্রহী?

কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন। এরপরই ইসলামাবাদের তরফে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করা হয়।

Advertisement
পাকিস্তানের সুপারিশে কি নোবেল পাবেন ট্রাম্প-কেন পিস প্রাইজ পেতে এত আগ্রহী? Donald Trump
হাইলাইটস
  • ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল প্রাইজ পেতে মরিয়া
  • পাকিস্তান তাঁর প্রশংসাও করেছে।

কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন। এরপরই ইসলামাবাদের তরফে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করা হয়। কারণ হিসেবে দাবি করা হয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে একমাত্র আমেরিকাই। তারপর থেকে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি পাকিস্তানের সুপারিশের ফলে ট্রাম্পের নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে গেল? তবে সত্যিটা হল, একটি দেশ হিসেবে  পাকিস্তান যতই সুপারিশ বা আবেদন করুক না কেন, নোবেল কমিটির এতে প্রভাবিত হওয়ার কথা নয়। নোবেল পেতে গেলে একটি নির্দিষ্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। 

ট্রাম্পের নোবেল পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা কারও কাছে গোপন নয়। প্রথম মেয়াদকালেই তিনি নোবেল পাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। দাবি করেছিলেন, তাঁর কারণেই অনেক দেশের ভয়াবহ যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। সেই তালিকায় ছিল ভারত ও পাকিস্তানের নামও। এদিকে সম্প্রতি পাকিস্তানের সুপারিশের পর, ট্রাম্প এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন। তিনি সেখানে জানান, গোটা বিশ্ব জানে তাঁর অবদান। তারপরও তাঁকে পুরস্কার থেকে দূরে রাখা হবে। অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্প প্রভাব খাটিয়ে নোবেল নিতে পারেন। তবে নোবেল কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, ১০০টি দেশ যদি কোনও নাম বা সংস্থাকে মনোনীত করে তবুও সেই ব্যক্তিই পুরস্কার পাবেন এমনটা নিশ্চিত হতে পারে না। 

নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার প্রথম শর্ত হল, কোনও দেশের নেতৃত্ব বা সংস্থার কাউকে মনোনীত করেছে। কেউ যত ভালো কাজই করুক না কেন, মনোনয়ন ছাড়া নোবেল দেওয়া যায় না। কিন্তু মনোনীত হওয়া মানেই সেই ব্যক্তি নোবেল পাবেন, এমনটাও নয়। নোবেল কমিটির কাছে প্রতি বছর শত শত নাম আসে। নির্বাচন কমিটি সেই মনোনয়নগুলি দেখে। প্রতিটি নামের উপর গোপনীয় তদন্ত করা হয়। তারপরই যোগ্য ব্যক্তিকে নোবেল দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়। 

Advertisement

শান্তিতে কারও নাম নোবেল পাওয়ার জন্য মনোনীত হলে কমিটি দেখে, সত্যিই সেই ব্যক্তির কারণে শান্তি স্থাপিত হয়েছে কি না। অনেক সময়, রাজনৈতিক সুবিধার জন্য নেতারা শান্তি চুক্তি করে এবং তারপর মনোনয়ন পাঠায়। এই উদ্দেশ্যটিও তদন্ত করা হয়। নামের সঙ্গে কোনও অপরাধমূলক পটভূমি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়। এই সব কিছুর পর কমিটি শান্তি পুরস্কারের জন্য কোন ব্যক্তিকে নির্বাচন করে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায়, একাধিক দেশ একই ব্যক্তিকে মনোনীত করেছে। সেক্ষেত্রে সেই নামের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু, নিয়ম সেই একই থাক। শান্তি পুরস্কারের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া অত্যন্ত গোপনীয়। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির আগে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়। এগুলো সিল করা চিঠি। নোবেল কমিটি সেগুলো পরীক্ষা করে। এরপর নোবেল ইনস্টিটিউট নামে একটি গবেষণা দল প্রতিটি নামের পিছনের কাজ এবং এর প্রভাব পরীক্ষা করে। প্রক্রিয়াটি কয়েক মাস ধরে চলে। 

পাকিস্তান ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করে জানিয়েছে, তাঁর কারণেই আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তালিবানের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছিল। যেহেতু ট্রাম্প সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন, তাই তাঁর পুরস্কার পাওয়া উচিত। ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে পৌঁছেছেন। নেতা হওয়ার আগে তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাঁর নোবেল প্রাইজের প্রতি  আকাঙ্ক্ষার একটা বড় কারণ হল পূর্বসূরি  প্রেসিডেন্ট ওবামারও এই  পুরস্কার পাওয়া। ট্রাম্প তো বলেওছিলেন, তিনি ১০ সেকেন্ডের মধ্যে এই পুরস্কার পেতাম যদি ওবামা হতেন। 

POST A COMMENT
Advertisement