scorecardresearch
 

Pakistan Parliament : রাসায়নিক দিয়ে যৌনাঙ্গ ছেদ! এবার ধর্ষকদের শাস্তি পাকিস্তানে

Pakistan Parliament: পাকিস্তানে মহিলা এবং শিশুদের ওপর একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। আর এ নিয়ে মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

Advertisement
ধর্ষণ ঠেকাতে পাকিস্তানে আরও কড়া আইন (প্রতীকী ছবি) ধর্ষণ ঠেকাতে পাকিস্তানে আরও কড়া আইন (প্রতীকী ছবি)
হাইলাইটস
  • নারী নির্যাতনকারী, ধর্ষকদের জন্য কড়া আইন আনছে পাকিস্তান
  • সংসদে একটি বিল পাশ হয়েছে
  • যেখানে বলা হয়েছে, এই অপরাধীদর দ্রুত সাজা ঘোষণা করা হবে

Pakistan Parliament: নারী নির্যাতনকারী, ধর্ষকদের জন্য কড়া আইন আনছে পাকিস্তান। সম্প্রতি সংসদে একটি বিল পাশ হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এই অপরাধীদর দ্রুত সাজা ঘোষণা করা হবে। এবং আরও কড়া সাজা শাস্তি দেওয়া হবে। 

মানুষের ক্ষোভ প্রবল
কেন এমন পথে হাঁটল পাকিস্তান? তার কারণ খুব সবজেই অনুমান করা যায়। আর তা হল সেখানে মহিলা এবং শিশুদের ওপর একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। আর এ নিয়ে মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ফলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। 

অনেকটই এগিয়ে গিয়েছে
সে দেশের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি ইতিমধ্যে ধর্ষণ-বিরোধী অর্ডন্যান্স বা অধ্যাদেশে সম্মতি দিয়ে দিয়েছেন। সেই ঘটনার বছর পার করতে চলল। সেখানে বলা হয়েছে, দাগী ধর্ষকদের যৌনাঙ্গ ছেদ করে দেওয়া হবে। রাসায়নিকের সাহায্য়ে এই কাজ করা হবে। 

এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার জন্য বিশেষ আদালত বসানো হবে। আসামির সম্মতি নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। 

সংশোধন
ডন পত্রিকা জানাচ্ছেন, বুধবার পাকিস্তানর সংসদে মোট ৩৩টি বিল পাশ হয়। তার মধ্যে রয়েছে অপরাধ আইন (সংশোধন) বিল ২০২১-ও। সেখানে ১৮৬০ সালের পাকিস্তান পিনাল কোড এবং ১৮৯৮ সালের কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর সংশোধন করা হয়।

ওই বিলে বলা হয়েছে, রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে যৌনাঙ্গ ছেদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নেওয়া হয়েছে। এবং এর ফলে একজন ব্যক্তি জীবনে আর কখনও যৌন মিলন করতে পারবে না। 

সেখানে আরও বলা হচ্ছে, সেটি আদালতের সম্মতির পর তা দেওয়া হবে। এর জন্য বসানো হবে মেডিকেল বোর্ডও।

প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি
জামাত-ই-ইসলামির সংসদ সদস্য মুস্তাক আহমেদ এর বিরোদিতা করেন। এই বিলটিকে অ-ইসলামি এবং শরিয়া বিরোধী বলে মন্তব্য করেন।

Advertisement

তিনি দাবি করেন, ধর্ষকারীকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া উচত। যৌনাঙ্গ ছেদ নিয়ে শরিয়ায় কিছু বলা নেই। 

এই পদ্ধতি কী
রাসায়নিক ভাবে যৌনাঙ্গ হানি কী জিনিস, তা জেনে নেওয়া যাক। যৌন ক্ষমতা কমাতে এটি কাজে লাগানো হয়। বেশ কয়েকটি দেশে আইনি উপায়ে এই পদ্ধতিতে সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র। আমেরিকার কোনও কোনও প্রদেশে এই পদ্ধতি প্রযোগ করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, পাকিস্তান ধর্ষণকারী বা নির্যাতনকারীদের মাত্র ৪ শতাংশ শেষ পর্যন্ত সাজা পান।

 

Advertisement