Pakistan: 'অপারেশন সিঁদুরের সময় বাঙ্কারে লুকোতে বলা হয়েছিল’, অবশেষে মেনে নিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট

Operation Sindoor: ‘বাঙ্কারে লুকোতে বলা হয়েছিল।' স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের। ভারতের প্রত্যাঘাতে যে পাকিস্তান কেঁপে উঠেছিল, সে কথা এবার কার্যত স্বীকার করে নিলেন আসিফ আলি জারদারি।

Advertisement
'অপারেশন সিঁদুরের সময় বাঙ্কারে লুকোতে বলা হয়েছিল’, অবশেষে মেনে নিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টঅপারেশন ‘সিঁদুর’ নিয়ে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি জারদারির।
হাইলাইটস
  • কার্যত স্বীকার করে নিলেন আসিফ আলি জারদারি।
  • ফের প্রকট ইসলামাবাদের সামরিক দুর্বলতা, কূটনৈতিক অবস্থান এবং সন্ত্রাস নিয়ে দ্বিচারিতা।
  • একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়।

Operation Sindoor: ‘বাঙ্কারে লুকোতে বলা হয়েছিল।' স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের। ভারতের প্রত্যাঘাতে যে পাকিস্তান কেঁপে উঠেছিল, সে কথা এবার কার্যত স্বীকার করে নিলেন আসিফ আলি জারদারি। অপারেশন ‘সিঁদুর’ নিয়ে তাঁর এই মন্তব্যে ফের প্রকট ইসলামাবাদের সামরিক দুর্বলতা, কূটনৈতিক অবস্থান এবং সন্ত্রাস নিয়ে দ্বিচারিতা। ২২ এপ্রিল ২০২৫। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ নাগরিক। দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন তখন তুঙ্গে। আর তার মধ্যেই মে মাসের শুরুতে ভারত শুরু করে অপারেশন ‘সিঁদুর’। লক্ষ্য একটাই, পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি পরিকাঠামো গুঁড়িয়ে দেওয়া। একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়।

ভারতের এই ‘দ্রুত এবং নিখুঁত’ প্রত্যাঘাত যে পাকিস্তানকে কার্যত হতভম্ব করে দিয়েছিল, তারই ইঙ্গিত মিলল জারদারির কথায়। শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারতের হামলার সময় পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তাঁর কথায়, 'আমার মিলিটারি সেক্রেটারি এসে বলেছিলেন, যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আমাকে বাঙ্কারে চলে যেতে বলা হয়েছিল।' যদিও জারদারি দাবি করেন, তিনি সেই পরামর্শ মানেননি। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে; যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই থাকত, তবে প্রেসিডেন্টকে কেন বাঙ্কারে যাওয়ার কথা বলা হল?

এই বক্তব্যেই স্পষ্ট, ভারতের অপারেশন ‘সিঁদুর’ শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তার অভিঘাত পৌঁছেছিল পাকিস্তানের ক্ষমতার কেন্দ্র পর্যন্ত। ৭ মে ভোররাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী একযোগে ন’টি জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানে। পাকিস্তান পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করতেই ভারতীয় সেনা পাক সামরিক পরিকাঠামোকেও নিশানা করে। 

এরপর সীমান্তে বাড়ে উত্তেজনা। সীমান্তে গোলাবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতীয় সেনার পাল্টা জবাবে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দিতে বাধ্য হয় ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভারত সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়।

Advertisement

এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। তিনি জানান, স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে সব ধরনের সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ রাখার বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু সংঘর্ষবিরতির আড়ালেও যে পাকিস্তানের অস্বস্তি কাটেনি, জারদারির স্বীকারোক্তিই তার প্রমাণ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা ভারতের নয়া নিরাপত্তা নীতির স্পষ্ট প্রতিফলন। আগে কূটনৈতিক বিবৃতি আর আন্তর্জাতিক মঞ্চে নালিশের মধ্যেই সমস্ত প্রতিক্রিয়া সীমাবদ্ধ থাকত। তবে এখন সরাসরি জবাব দিচ্ছে নয়াদিল্লি। আর সেই জবাব যে কতটা তীব্র হতে পারে, তা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের ‘বাঙ্কার’ মন্তব্যেই স্পষ্ট।

তবে প্রশ্ন থেকেই যায়। জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংসের পরও কি পাকিস্তান আদৌ শিক্ষা নেবে? নাকি আবারও সেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘ভিক্টিম’ সাজার চেষ্টা চলবে? অপারেশন ‘সিঁদুরে’র পর এই স্বীকারোক্তি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে শক্তির ভারসাম্য বদলের ইঙ্গিত হিসাবেই দেখতেন বিশ্লেষকরা।

POST A COMMENT
Advertisement