সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে একসঙ্গে এন্ট্রি নিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদামির পুতিন এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ২০ দেশের রাষ্ট্রনেতাদের এই সম্মেলনে প্রথম থেকই স্পটলাইটে এই ত্রয়ী। ৩ জনের হাসি, মজা, খুঁনসুটি আর আড্ডায় জমজমাট তিয়ানজিন শহরের এই সম্মেলন। গল্পে এতটাই মশগুল ছিলেন তাঁরা, কখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন তা নিজেরাই টের পাননি মোদী-পুতিন-জিনপিং। দূরে দাঁড়িয়ে ৩ রাষ্ট্রনেতার খোশগল্প ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে দেখছেন শরিফ।
হ্যান্ডশেক আর হাসির সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। আর সেই ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। মোদী, পুতিন আর জিনপিংয়ের গল্পের মাঝে তিনি যেন বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন। শেহবাজ শরিফের সেই 'এমব্যারাসিং মোমেন্ট' হু হু করে ভাইরাল হচ্ছে নেটপাড়ায়। নেটিজেনরা বলছেন ত্রয়ীর আড্ডায় 'ফটোবম্বিং' করছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। আবার জেন জিরা লিখছেন, 'শেহবাজ শরিফ FOMO-তে ভুগছেন।' FOMO অর্থাৎ Fear Of Missing Out.
SCO সামিটের শুরু থেকেই শেহবাজ শরিফকে এড়িয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফ্যামিটি ফোট তোলার সময়ে তিনি পাক প্রধানমন্ত্রীর থেকে শতহস্ত দূরে দাঁড়িয়েছিলেন। আবার ব্যাঙ্কয়েটেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ত্রিসীমানায় আসেননি।
এখানেই শেষ নয়, SCO সম্মেলনে নিজের ভাষণের মাধ্যমেও পাক প্রধানমন্ত্রীকে বেজায় অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসবাদ কেবলমাত্র কোনও দেশের নিরাপত্তার উপর আঘাত নয়, এটি সমগ্র মানবজাতির উপর আঘাত। গত ৪ দশক ধরে ভারত সন্ত্রাসবাদ দেখেছে। সম্প্রতি তার ভয়াবহ চিত্র দেখা গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে। যে সমস্ত বন্ধু দেশে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের লড়াইয়ে পাশে ছিল, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা স্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কোনওরকম দ্বিচারিতা সহ্য করা হবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদকে যে সমস্ত দেশ সহায়তা করবে, উস্কানি দেবে, আমরা কি তাদের পাশে থাকব? আমরা কি তা মেনে নেব?' একঘর রাষ্ট্রনেতার সামনে যখন প্রশ্ন তুলছেন মোদী, দর্শকাসনে বিরাজমান পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। লজ্জায় কি তাঁর মাথা আদৌ হেঁট হল?