
রাম মন্দিরে ধর্মধ্বজা উঠতেই কাঁদুনি শুরু পাকিস্তানেরসন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া পাকিস্তানের মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করছে, বেকারত্ব চরমে। এত ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে ব্যস্ত। এবার রাম মন্দির নিয়ে তারা প্রতিক্রিয়া দিল। অযোধ্যার রাম মন্দিরে ধর্মধ্বজা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গেই ইসলামাবাদের শাসকরা এই নিয়ে মুখ খুলেছে। ২৫ নভেম্বর, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক ভারতকে নিয়ে অবমাননাকর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যে দেশটির নিজস্ব সংবিধান হুমকির মুখে, তারা ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
প্রসঙ্গত, ২৫শে নভেম্বর, অযোধ্যা ধামের নাম ইতিহাসের পাতায় আবারও স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করা হয়। রাম ভক্তদের ৫০০ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হয় এদিন । প্রধানমন্ত্রী মোদী রাম মন্দিরের চূড়ায় পতাকা উত্তোলন করেন।
রাম মন্দিরের পতাকা উত্তোলন নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া
রাম মন্দিরে পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় পাকিস্তানে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক রাম মন্দিরে ধর্মধ্বজা উত্তোলনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে তারা ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের ঘটনা উল্লেখ করে বলেছে, ফ্যাসিবাদী চিন্তাভাবনায় অনুপ্রাণিত একদল উগ্র জনতা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলেছিল। তাছাড়া, পাকিস্তান আরও বলেছে, ভারত দায়ী ব্যক্তিদের মুক্তি দিয়েছে এবং ভেঙে দেওয়া মসজিদের জায়গায় একটি মন্দির তৈরি করা হয়েছে।

সংখ্যালঘুদের বিষয়ে জ্ঞান দেওয়া শুরু
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক এটিকে ভারত সরকারের সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং আরও বলেছে, এটি ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চাপের একটি বৃহত্তর ধরণ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের প্রভাবে মুসলিম সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যকে নির্মূল করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটায়।পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, বেশ কয়েকটি মসজিদ বিরোধ এবং আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যা মুসলিম ধর্মীয় স্থানগুলির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভারতে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়া, ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং আক্রমণের দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, যেখানেই ধর্মীয় ঐতিহ্য হুমকির সম্মুখীন হোক না কেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত 'তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ' নেওয়া।
পাকিস্তান ভারতের কাছে আবেদন জানিয়েছে
বিবৃতিটি শেষ হয়েছে পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারত সরকারকে মুসলিম সহ সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা অনুসারে তাদের উপাসনালয় রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ভারতকে কটাক্ষ করে আসা পাকিস্তানের নিজের দেশেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। পাকিস্তানে খ্রিস্টান ও হিন্দু মেয়েদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার ক্রমাগত খবর উদ্বেগজনক।