ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান তাদের পাশে আছে। দাবি করল ইরান। এমনকী সেই দেশের এক সরকারি আধিকারিকের দাবি, ইজরায়েল যদি পরমাণু হামলা চালায় তাহলে পাকিস্তান তাদের হয়ে ইজরায়েলের উপর পরমাণু শক্তি প্রয়োগ করবে। যদিও এই ইরানের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান। তারা কোনওভাবেই এই বক্তব্যকে সমর্থন করে না। সাফ জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
ইরানের এক টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে জেনারেল মহসিন রাজেই বলেন, 'পাকিস্তান জানিয়েছে তারা আমাদের পাশে আছে। যদি ইজরায়েল পরমাণু হামলা করে তবে পাকিস্তান আমাদের হয়ে তাদের উপর আক্রমণ করবে।'
এদিকে এই মন্তব্য সামনে আসার পর বিশ্বজুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। পাকিস্তানের এই দাবি ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়। জলঘোলা হয় নানা মহলে। তখন আসরে নামে ইসলামাবাদ। সেই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইরানের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। তিনি জানান, পাকিস্তান সরকারের তরফে ইরানকে এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।
তবে পাকিস্তান ইরানকে পরমাণু শক্তির দিক থেকে সাহায্য করার কথা নাকচ করলেও তারা যে ইরানের পক্ষেই, সেটা স্পষ্ট করে দেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ইজরায়েল একটি ইহুদি দেশ। আর পাকিস্তান মুসলিম। সেই কারণে ইরানকে সব মুসলিম দেশের সমর্থন করা প্রয়োজন। তা না করলে ধর্মের সঙ্গে অন্যায় করা হবে।
গত শনিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সেই দেশের সংসদে ভাষণে বলেন, 'ইজরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ইরানের উপর টার্গেট করছে। সেটা আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি। ইরান, ইয়েমেন ও প্যালেস্টাইনের বহু মানুষ মারা গেছে ইজরায়েলি হানায়। তাই মুসলিম দেশগুলোকে ইজরায়েলের বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে। না হলে পরণতি কিন্তু ইরানের মতোই হবে।'
যদিও ইজরায়েলের কাছে পরমাণু অস্ত্র আছে কি না তা পরিষ্কায় নয়। এই প্রশ্নে তারা বরাবর নীরবই থেকেছে। সরকার এই বিষয়ে উচ্চবাচ্য না করলেও সেখানকার আম-আদমির বিশ্বাস, তাদের সরকারের হাতে অস্ত্র আছে। অন্যদিকে, ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে পরমাণু শক্তি তাদের দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। কারও উপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্য নেই।