মাঝ আকাশে ফের আতঙ্ক ছড়াল। আবারও বোয়িংয়ের বিমানে বিপত্তি ঘটল। এবার বিভ্রাট ঘটল জাপান এয়ারলাইন্সের উড়ানে। চিনের সাংহাই থেকে টোকিওগামী বিমানটি আচমকাই মাঝ আকাশে ২৬ হাজার ফুট থেকে নীচে নেমে যায়। যার জেরে সঙ্গে সঙ্গে বিমানের মধ্যে আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। খুলে যায় অক্সিজেন মাস্ক। প্লেন ক্র্যাশ করছে, মৃত্যু নিশ্চিত, এটা বুঝেই তড়িঘড়ি শেষ ইচ্ছের কথা লিখলেন যাত্রীরা।
বিমানটি ভেঙে পড়ছে, একপ্রকার নিশ্চিত হওয়ার পরই আর্তনাদ শুরু হয়ে যায়। যাঁরা ঘুমোচ্ছিলেন, তাঁরা জেগে যান। কেউ কেউ প্রিয়জনকে শেষ মেসেজ পাঠান। আবার কেউ উইল লিখলন। কেউ আবার নোটপ্যাডে ব্যাঙ্কের পিন কোড লিখলেন। এমন কাণ্ডই ঘটেছে ওই বিমানে।
জানা গিয়েছে, গত ৩০ জুন সাংহাইয়ের পুদং বিমানবন্দর থেকে বিমানটি টেক অফ করে। টোকিওর নারিতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। বিমানে ১৯১ জন ছিলেন।
সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। আচমকা বিমানটি মাত্র ১০ মিনিটেই ২৬ হাজার ফুট নীচে নেমে যায়। বায়ুচার বৃদ্ধির সতর্কবার্তা পান বিমানকর্মীরা। তারপরেই খুলে যায় অক্সিজেন মাস্ক। এই পরিস্থিতিতে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। বিমানটিতে ওসাকার বিমানবন্দরে ঘোরানো হয়।
বিমানের আপৎকালীন পরিস্থিতির নানা ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যার সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ওসাকায় নিরাপদে বিমানটি অবতরণ করে। কেউ হতাহত হননি।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন গুজরাতের আহমেদাবাদের মেঘানিনগরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। টেক অফের পর পরই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পড়ে বিমানটি। গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন বিমানে। রমেশ বিশ্বাসকুমার বাদে বাকি সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। ওই বিমানটিও বোয়িংয়ের ছিল।