Modi-Yunus Meeting: মোদীকে কী উপহার দিলেন ইউনূস? যা যা আলোচনা হল

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে কিছু কূটনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ভারতের উদ্বেগের অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা।

Advertisement
মোদীকে কী উপহার দিলেন ইউনূস? যা যা আলোচনা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মহম্মদ ইউনূস
হাইলাইটস
  • কী কথা হল মোদী-ইউনূসের
  • ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কোন পথে?
  • সম্মেলনের ডিনারে মোদী ও ইউনূস একসঙ্গে

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সম্মেলনের ফাঁকে দু’জনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল, যা কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। মোদীকে একটি ছবি উপহার দিলেন ইউনূস। ছবিটি হল ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি মোদী ও ইউনূসের প্রথম সাক্ষাতের। 

কী কথা হল মোদী-ইউনূসের

জানা গেছে, এই বৈঠকের অনুরোধ করেছিলেন মহম্মদ ইউনূস, যা ভারত গ্রহণ করেছে। বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়গুলি উঠে আসে। বর্তমানে বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে বেশ উত্তপ্ত সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলন ও আগাম নির্বাচনের দাবি, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক চাপ— সব মিলিয়ে দেশের পরিস্থিতি জটিল। বিশেষ করে ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলি ও তাঁর সাম্প্রতিক চিন সফর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিমস্টেক সামিট
বিমস্টেক সামিট

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কোন পথে?

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে কিছু কূটনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ভারতের উদ্বেগের অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা।

২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভারত চায় দুই দেশের অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হোক।

সম্মেলনের ডিনারে মোদী ও ইউনূস একসঙ্গে

বৃহস্পতিবার বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সরকারি নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও ড. ইউনূসকে একসঙ্গে বসে থাকতে দেখা গেছে। কূটনৈতিক মহলে এই ঘটনাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই বৈঠক একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে। তবে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান এবং ভারতের পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপই ঠিক করবে এই বৈঠকের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কতটা হবে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement