প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘মিত্র বিভূষণ’ সম্মান দিল শ্রীলঙ্কা সরকার। দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর করা, আর সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় তাঁর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মান। এই নিয়ে এটি প্রধানমন্ত্রীর ২২ তম সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান।
বিশ্বমঞ্চে বিশেষ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে এই ‘মিত্র বিভূষণ’ পদক চালু করেছে শ্রীলঙ্কা। এই পদক ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সম্পর্কের উষ্ণতা ও গভীরতাকে প্রতিফলিত করে।
এই পদকের প্রতিটি উপাদানেও রয়েছে বিশেষত্ব। এর মাধ্যমে দুই দেশের ঐতিহ্যের প্রতীক তুলে ধরা হয়েছে।
ধর্মচক্র— হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির অন্যতম চিহ্ন। এটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ বৌদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক। এই ধর্মচক্র দুই দেশের সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক বন্ধনের পরিচায়ক।
‘পুণ্য কলস’ বা পূণ্য জলভরা কলসীতে ধানের শিষ দিয়ে সাজানো থাকে। এটি সমৃদ্ধি ও পুনর্জন্মের প্রতীক।
‘নবরত্ন’ বা নয়টি মূল্যবান রত্নকে দেখানো হয়েছে একটি পৃথিবীর প্রতিকে। চারপাশে রয়েছে খাঁটি পদ্মফুলের পাপড়ি। এটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার টেকসই বন্ধুত্বকে চিত্রিত করে।
সূর্য ও চাঁদের প্রতীক এই পদকে রয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্কের কোনও শুরু বা শেষ নেই। এটি প্রাচীন ইতিহাস থেকে ভবিষ্যতের অনন্ত পথচলার প্রতীক।
এই বিশেষ সম্মান প্রধানমন্ত্রী মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি এক উজ্জ্বল শ্রদ্ধার্ঘ। তিনি যে আঞ্চলিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক পুনরুত্থান ও আধ্যাত্মিক কূটনীতিতে বিশ্বাসী, তার প্রমাণ এই পদক।
এই পদক আরও একবার প্রমাণ করে, ভারত শুধু প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বন্ধুত্বই তৈরি করছে না, বরং শান্তি, ঐক্য ও সমৃদ্ধির বার্তাও ছড়িয়ে দিচ্ছে সমগ্র অঞ্চলে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শুধু কূটনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও এক বড় মুহূর্ত হয়ে রইল।
এই সম্মান ভারতের জন্য গর্বের, আর দক্ষিণ এশিয়ার সম্পর্কের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।