উন্নয়ন: শূন্য
শিক্ষা: শূন্য
সমাজ সচেতনতার প্রসার: শূন্য
প্রতিবেশী দেশকে দোষারোপ ও তুলনা: একশো
PoK র স্কোরকার্ড বলে যদি কিছু থাকত, তা হয় তো কিছুটা এমনই হত। বছরের পর বছর পাকিস্তানের এই অংশের মানুষরা থেকেছেন অবহেলিত, বঞ্চিত ও উন্নয়নের আলোর থেকে বহু দূরে। অবশেষে ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছে। তবুও সেই প্রতিবাদের মুখেও থামল না ভারতের সঙ্গে তুলনা ও দোষারোপ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের ভারতকেই টেনে আনছেন সেদেশের রাজনীতিবিদ, নেতা, মন্ত্রীরা।
ব্যর্থতা লুকানোর জন্য মিথ্যাচার এবং হুমকিরও আশ্রয় নিচ্ছে পাকিস্তান সেনা। বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী বিক্ষোভকারীদের রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলছেন, 'প্রতিবাদ করা একটি অধিকার, কিন্তু সরকার সরানোর চেষ্টা মানা হবে না।'
তিনি বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে রাজনৈতিক প্রভাব ুপড়েছে। আর সেই কারণেই এই আন্দোলন।
ব্যর্থতা লুকানোর জন্য ভারতের নামও টানলেন। কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেতিনি বলেন, 'যে ব্যক্তি পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনিও কাশ্মীরেরই ছিলেন। সেনাবাহিনীর অনেক অফিসার এবং সৈনিক কাশ্মীরি। কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ পাকিস্তানের অংশ হওয়া।'
তাঁর দাবি, আটা এবং বিদ্যুৎ সস্তা করা হয়েছে। জনসাধারণের কাছে অনেক সুবিধা পৌঁছে গিয়েছে। তিনি দাবি করেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পরিস্থিতি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের তুলনায় ভাল।
জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে তিনি বলেন, 'পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের কাশ্মীরের চেয়ে ভাল আছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সাক্ষরতার হার ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের চেয়ে বেশি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের হাসপাতাল, রাস্তাঘাট এবং কলেজের অবস্থা ভাল। এখানে বিদ্যুতও সস্তা এবং মুদ্রাস্ফীতিও কম।'