এ যেন 'রিয়েল লাইফ টারজান'! আধুনিক দুনিয়ার থেকে দূরে সরে গিয়ে ৪১ বছর জঙ্গলেই জীবন কাটিয়েছেন হো ভ্যান ল্যাং। বছর আটেক আগে জঙ্গল থেকে সভ্য জগতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল তাঁকে। জঙ্গল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর মানুষের সঙ্গে বসবাসের আট বছর কাটতে না কাটতেই মারা গেলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ৪১ বছর ভিয়েতনামের জঙ্গলে বসবাস করার পর ল্যাংকে মানব সভ্যতায় আনা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, মানুষের মধ্যে মাত্র আট বছর থেকেই প্রাণ হারালেন ল্যাং। লিভার ক্যান্সার রোগে ভুগে তাঁর মৃত্যু হয়। সোমবারই ক্যান্সার ব্যাধিতে ভুগে তাঁর মৃত্যু হয়।
ল্যাং-এর বাবা হো ভ্যান থান, যিনি ভিয়েতনামের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। সেইসময় ১৯৭২ সালে জঙ্গলে বসবাস করতে চলে যান ল্যাং। ভয়াবহ ভিয়েতনাম যুদ্ধে তাঁর পরিবারের সদস্যরা আমেরিকান বোমা হামলায় নিহত হয়েছিল। এই অবস্থায় ল্যাং ও তাঁর বাবা দুজনেই প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গলে পালিয়ে যান।
মহিলাদের অস্তিত্ব অজানাই ছিল
কয়েক দশক ধরে দুজনই আধুনিক বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে ছিলেন তাঁরা। বনের মধু, ফল এবং বন্য প্রাণীর মতো জঙ্গলে যা পাওয়া যায়, তা খেয়েই বেঁচে ছিলেন তাঁরা।
২০১৩ সালে মানুষের মধ্যে ব্যাপারটি জানাজানি হয়ে যায়। এরপর তাঁদের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে মানুষের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ল্যাং মানব সভ্যতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়।
তাঁর ফটোগ্রাফার বন্ধু আলভারো সেরেজো বলেন, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এবং মাঝে মাঝে অ্যালকোহল পান করার কারণেই কঠিন রোগে ভুগে মৃত্যু হল ল্যাং-এর।