US Russia Tension: আমেরিকার সাবমেরিন মোতায়েনের পাল্টা জবাব রাশিয়ার, এবার কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

শুক্রবার ট্রাম্প তাXর ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে লিখেছিলেন যে তিনি রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে মার্কিন সাবমেরিনগুলিকে উপযুক্ত অঞ্চলে তিনি আবারও মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement
আমেরিকার সাবমেরিন মোতায়েনের পাল্টা জবাব রাশিয়ার, এবার কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?আমেরিকার সাবমেরিন মোতায়েনের পাল্টা জবাব রাশিয়ার, এবার কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?
হাইলাইটস
  • রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন যে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ হওয়া উচিত নয়
  • দুটি পরমাণু সাবমেরিন মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

মস্কোকে চাপে রাখতে রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পরমাণু সাবমেরিন মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা মস্কোও তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো দুটি আমেরিকান সাবমেরিন মোকাবিলা করার জন্য গভীর সমুদ্রে পর্যাপ্ত রাশিয়ান পরমাণু সাবমেরিন রয়েছে। রাশিয়ার সাংসদ  ভিক্টর ভোডোলাটস্কিকে উদ্ধৃত করে TASS জানিয়েছে, 'মহাসাগরে রাশিয়ান পরমাণু সাবমেরিনের সংখ্যা আমেরিকান সাবমেরিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সাবমেরিনগুলিকে উপযুক্ত অঞ্চলে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেগুলি দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই, সাবমেরিন সম্পর্কে আমেরিকান নেতার বক্তব্যের বিষয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই।'

শুক্রবার ট্রাম্প তাXর ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে লিখেছিলেন যে তিনি রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে মার্কিন সাবমেরিনগুলিকে উপযুক্ত অঞ্চলে তিনি আবারও মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।

ভিক্টর ভোডোলাটস্কি বলেছেন, 'দুটি মার্কিন সাবমেরিনকে যাত্রা করতে দিন, তারা দীর্ঘদিন ধরেই নজরে রয়েছে। রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে একটি মৌলিক চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে, যাতে পুরো বিশ্ব শান্ত হয় এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা সম্পর্কে কথা বলা বন্ধ করে।'

এদিকে, রাশিয়ার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক ফিওদর লুকিয়ানভ বলেছেন যে ট্রাম্পের পরমাণু সাবমেরিনের বিবৃতি আপাতত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত নয়। লুকিয়ানভ স্থানীয় বেসরকারি সংবাদ চ্যানেল আরবিসি টিভিকে বলেন, 'আমরা জানি ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব চ্যানেল পরিচালনা করেন এবং আবেগগতভাবে, মানবিকভাবে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানান। আমার মনে হয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী, নৌবাহিনী এটি অত্যন্ত অবাক করে পড়ে। যদি এই মতামত বিনিময় অব্যাহত থাকে এবং ট্রাম্প এতে আকৃষ্ট হতে থাকেন, তাহলে, কোনও না কোনওভাবে তাঁকে সম্ভবত কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আমার মতে, এখনও পর্যন্ত এটি কেবল শব্দের স্তরে রয়েছে।'

এর আগে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন যে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ হওয়া উচিত নয়। এটা নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে একমত মস্কো। তিনি বলেন, 'যদিও ইউরোপীয়রা ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে ঢোকানোর জন্য পাগলের মতো চাপ দিচ্ছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও সম্প্রতি একটি দায়িত্বশীল মন্তব্য করেছেন। স্পষ্টভাবে বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ এড়াতে হবে। আমরা এই অবস্থানের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement