রাশিয়া বর্তমানে এক গভীর সংকটে পড়েছে। একদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে বিপুল যুবক প্রাণ হারিয়েছেন, অন্যদিকে জন্মহার হ্রাস এবং অভিবাসন বাড়ায় দেশের জনসংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটির সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হল, স্কুল ও কলেজের গর্ভবতী ছাত্রীদের এককালীন নগদ টাকা।
রাশিয়ার সাইবেরিয়ার কিছু অঞ্চলে যেমন কেমেরোভো, কারেলিয়া, ব্রায়ানস্ক, ওরিওল এবং টমস্কের সরকারি ক্লিনিকে রেজিস্টার করা ২২ সপ্তাহের বেশি গর্ভবতী ছাত্রীদের ১ লক্ষ (১০০,০০০ রুবেল) পর্যন্ত নগদ বোনাস দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য তরুণীদের গর্ভধারণে উৎসাহিত করা এবং জন্মহারের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা।
২০২৪ সালের প্রথমার্ধে রাশিয়ায় মাত্র ৫,৯৯,৬০০ শিশু জন্ম নিয়েছে, যা গত ২৫ বছরে সর্বনিম্ন। ঐতিহাসিকভাবে, মাসিক জন্মহার প্রথমবারের মতো ১ লক্ষের নিচে নেমেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্বীকার করেছেন, এই প্রবণতা দেশের ভবিষ্যতের পক্ষে বিপজ্জনক।
এই প্রণোদনার পাশাপাশি রাশিয়ায় দ্বিতীয় সন্তানের জন্য ‘মাতৃত্বকালীন মূলধন’ প্রকল্পে ৪.৫ লক্ষ পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা, বড় পরিবারকে আবাসন সুবিধা, মাসিক শিশু ভাতা, কর ছাড়, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও চাকরির নিশ্চয়তা ইত্যাদি সুবিধাও চালু রয়েছে।
যদিও এই প্রকল্পগুলি জনসংখ্যা বাড়াতে কার্যকর হতে পারে, তবে সমালোচকরা বলছেন, ছাত্রজীবনে গর্ভধারণকে উৎসাহিত করা নারীর শিক্ষা ও ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী সমাধানের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা জরুরি।