যুদ্ধাপরাধী হিসেবে মাথার উপর ঝুলছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। গ্রেফতারের ভয়ে ভারতে G20 সামিটেও আসছেন না। কিন্তু চিনে যেতে রাজি। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে চিনে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অক্টোবরে চিন সফরে যাচ্ছেন পুতিন।
চিন সফরে যাতে কোনও রকম বিপাকে না পড়তে হয় পুতিনকে, তাই সব রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে ক্রেমলিন। সম্প্রতি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চিনে আয়োজিত কনক্লেভে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ করেন। জিনপিংয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন।
বস্তুত, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করেছে হেগের আন্তর্জাতিক আদালত। রাশিয়ার আন্তর্জাতিক সীমা পেরলেই গ্রেফতার করা হবে পুতিনকে, জানিয়েছে আদালত। যার নির্যাস, অগাস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় BRICS সামিটে যাননি পুতিন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, তাঁরা আইসিসি-র সদস্য দেশ। ফলে সে দেশে পা রাখলেই গ্রেফতার করতে হবে পুতিনকে। ব্রিকসেও পুতিনের বদলে রুশ প্রতিনিধি হিসাবে হাজির ছিলেন লাভারভ। দিল্লিতে G20 সামিটেও আসছেন না পুতিন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে ইরান ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কিছু দেশে গিয়েছেন পুতিন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে চিন সফরে গিয়েছিলেন তিনি। চিন সফর থেকে ফিরেই ইউক্রেনে হামলা চালান পুতিন।
অন্যদিকে জিনপিং চলতি বছরের মার্চে মস্কো গিয়েছিলেন। তৃতীয়বার চিনা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে রাশিয়াতেই গিয়েছিলেন জিনপিং।
চলতি বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু ভারত সফর বাতিল করার কথা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চিন সফরে রাজি হওয়ার বিষয়টি তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার বিরোধিতা করেছে চিন।