সাইবেরিয়ার আলতাই পর্বতমালায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বাড়ি ছিল। যা এখন পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুন লাগল তা রহস্য। কিন্তু দোষ চাপানো হচ্ছে ইউক্রেনের ওপর। এটি সেই একই বাড়ি যেখানে ইতালির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি ছিলেন।। কথিত আছে যে এই বাড়িতে একটি গোপন আস্তানাও রয়েছে। পুতিন এখানে ঔষধি স্নান করতেন। এই পুরো ক্যাম্পাসটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাজপ্রমের মালিকানাধীন। যিনি রাশিয়ার অনেক বিলাসবহুল প্রাসাদের দেখাশোনা করেন। বাড়ির ভিতরে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও আগুন ছিল খুবই ভয়াবহ।
আগুন লাগার কারণও জানা যায়নি। তবে কিছু লোক বিশ্বাস করে যে ইউক্রেন এই কাজটি করতে পারে। কারণ রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বাড়ি পোড়ানোর খবরটি প্রথম দিয়েছিলেন ব্লগার আমির আইতাশেভ। রাশিয়ার সিরেনা নিউজ সরকারি তরফে বিবৃতি পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুতিনের দলের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খুবই নিরাপদ জায়গা, যেখানে কোনও রাশিয়ান নাগরিক যেতে পারে না
এই জায়গাটা খুবই নিরাপদ। কোনও সাধারণ রাশিয়ান নাগরিক এখানে যেতে পারবেন না। চারদিকে কড়া নিরাপত্তা। এতদসত্ত্বেও পুতিনের ঘরের আগুন কেন লাগল তা কেউ বুঝতে পারছে না। পুতিন এবং তার পরিবারকে নিরাপদ রাখতে এই জায়গায় একটি উচ্চ প্রযুক্তির বাঙ্কারও তৈরি করা হয়েছে, যাতে তাঁরা পারমাণবিক যুদ্ধের সময় নিরাপদে থাকতে পারেন।
চারদিকে বায়ুচলাচল পয়েন্ট এবং অতি-আধুনিক পাওয়ার হাউস দিয়ে সজ্জিত
পুতিনের এই প্রাসাদটি আলতাই প্রজাতন্ত্রের ওংগুডেস্কি জেলায় অবস্থিত। মঙ্গোলিয়া, চিন এবং কাজাখস্তান এখান থেকে কাছাকাছি। এই স্থান এবং আশপাশে অনেক বায়ুচলাচল পয়েন্ট আছে। এছাড়া ১১০ কিলোভোল্টের একটি অতি-আধুনিক সাবস্টেশন রয়েছে। যা শুধুমাত্র এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বরং পুরো শহরকে আলোকিত করতে পারে। যখন এই প্রাসাদটি তৈরি করা হচ্ছিল, তখন বড় বড় জার্মান খননকারীরা এসেছিলেন। এখানে একটি হরিণের খামারও রয়েছে।