মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে দাঁড়িয়ে পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানকে বিঁধলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন,'জঙ্গিদের মদত দেয় পাকিস্তান'। ৪ দিনের সফরে মার্কিন সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। বুধবার কোয়াড সম্মেলনে অংশ নেন। ওই বৈঠকেই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ তোলেন। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাত নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন জয়শঙ্কর। বলেন,'কোয়াড দেশগুলি খনিজ নিয়ে নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যবশ্যক খনিজের খোঁজ ও উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়। সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানো হবে। সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজগুলির উপর নজরদারির জন্য নতুন বন্দোবস্ত তৈরি হবে'। তিনি আরও বলেন,'সব দেশ সমুদ্রের নীচে কেবল সংযোগ উন্নত করবে। যাতে আরও ভালো ইন্টারনেট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা যায়। গত ৮ বছরে কোয়াড ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে। চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে কোয়াড দেশগুলির একটি বড় বৈঠক আয়োজন করা যেতে পারে'।
পহেলগাঁও হামলা নিয়ে কী বলেছেন?
পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে জয়শঙ্কর বলেন,'পহেলগাঁও হামলার দোষীদের বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। পাকিস্তান এই হামলার ষড়যন্ত্রকারী। পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। ভারতের আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ-সহ সকল কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছে কোয়াড'।
সর্বদল প্রতিনিধিদলের প্রশংসা
বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছে সর্বদল প্রতিনিধিরা। এ কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, 'এটা বিশ্বের কাছে ভারতের ঐক্যের বার্তা পাঠিয়েছে। গণতন্ত্র হিসেবে আমরা এই কৃতিত্বের অধিকারী।
মার্কো রুবিওর সঙ্গেও কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। বাণিজ্য, ভিসা, প্রতিরক্ষা, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে বলে জানান জয়শঙ্কর। অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি ইওয়ায়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওংয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাঁর।