প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেল জাপান। মঙ্গলবার জাপানের পার্লামেন্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে 'অতিরক্ষণশীল' সানে তাকাইচিকে নির্বাচিত করেছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে তাকাইচির লিবেরাল ডেমোক্রেটিক পার্টির অবস্থা আদতে খুব একটা ভালো নয়। তবে তারা একটি নতুন জোট গড়ে তুলেছে। আর সেই কারণে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসলেন তাকাইচি।
শিগেরু ইশিবার জায়গায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। যার মাধ্যমে জুলাইতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ভয়াবহ নির্বাচনী পরাজয়ের পর চলা তিন মাসের রাজনৈতিক শূন্যতা কাটল, এমনটা মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
১ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন ইশিবা
গত বছরই প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন ইশিবা। তবে এ দিন তিনি ও তাঁর মন্ত্রীসভার প্রত্যেকেই পদত্যাগ করেন। সেই জায়গাতে নতুন জায়গা দখল করলেন তাকাইচি।
প্রসঙ্গত, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) হঠাৎ করে ওসাকা-ভিত্তিক ডানপন্থী দল জাপান ইনোভেশন পার্টি বা ইশিন নো কাই-এর সঙ্গে গড়ে তোলে জোট। আর এই জোটই তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া বিরোধী দলগুলি একত্রিত না থাকার কারণেও প্রধানমন্ত্রী হওয়া সহজ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে এই জোট এখনও সংসদের দুই কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। আর সেই কারণেই সমস্যা বাড়তে পারে তাকাইচির। যে কোনো আইন পাশ করতে হলে তাঁর সরকারকে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সহায়তা নিতে হবে। আর তখনই আসল খেলা শুরু হবে। এই কারণে তাঁর সরকার অস্থির হয়ে উঠতে পারে। এমনকী সরকার ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী বললেন তাকাইচি?
এ দিন রাজনৈতিক স্থিরতা আনার পক্ষে সওয়াল করলেন তাকাইচি। তিনি বলেন, 'এখন রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা ফেরানোই আসল লক্ষ। স্থিতাবস্থা না এলে শক্তিশালী অর্থনীতি বা কূটনীতি গড়ে তোলা যাবে না।'
তবে এমন পরিস্থিতিতে কতটা ভারসাম্য রক্ষা করা যাবে, সেটা নিয়ে হাজার প্রশ্ন রয়েছে। যদিও রাজনীতি সম্ভাবনার খেলা। এখানে কাল কী হয়, সেটা কেউ জানে না। তাই ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটা জানতে অপেক্ষা করা ছাড়া সত্যিই কোনও উপায় নেই।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন
তাকাইচি মসনদ দখল করার পরই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এতে ভারত ও জাপনের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে এক্স-এ লেখেন প্রধানমন্ত্রী।