Shubhanshu Shukla comes home: নিরাপদ অবতরণ করল শুভাংশু শুক্লার মহাকাশ যান। অবশেষে প্রশান্ত মহাসাগরে নিরাপদে অবতরণ করল স্পেসএক্স-এর ড্রাগন স্পেসক্রাফট। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লার (Indian Astronaut Shubhanshu Shukla) এই প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে ভারতের মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে এক গর্বের অধ্যায়।
শুভাংশু শুক্লা ১৮ দিন মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরলেন। এদিন শিডিউল মাফিক বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে ড্রাগন স্পেসক্রাফট। তার পর সঠিক সময়েই তার প্যারাশুটগুলি খুলে যায়। সেই প্যারাশুটের সাহায্যেই ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে স্প্ল্যাশডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
ড্রাগন স্পেসক্রাফট ল্যান্ডিংয়ের ভিডিও(Dragon spacecraft landing):
Welcome back to Earth, #Ax4! Today the Dragon spacecraft successfully splashed down marking the end of their successful mission to the International Space Station. pic.twitter.com/eeAyPCmWgG
— Axiom Space (@Axiom_Space) July 15, 2025
প্রশান্ত মহাসাগরে ড্রাগনের স্প্ল্যাশডাউন
সান ডিয়েগোর কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে স্প্ল্যাশডাউন করে শুভাংশুদের স্পেসক্রাফট। সম্পূর্ণ পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ভুল ল্যান্ডিং হয়। গতি কমানোর জন্য সময় মতো ড্রাগনের সিটগুলি ঘোরানো হয়।
অবতরণের ঠিক আগে, কিছু সময়ের জন্য স্পেসক্রাফটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তবে খুব দ্রুত সেই ব্ল্যাকআউট কাটিয়ে ওঠে স্পেসএক্স।
ভারতের জন্য গর্বের মুহূর্ত
প্রায় ৪১ বছর পর মহাকাশে কোনও ভারতীয় গেলেন। এর পাশাপাশি এই প্রথম কোনও ভারতীয় ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে গেলেন। শুভাংশু শুক্লার এই মিশন নিঃসন্দেহে ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা করবে।
Dragon and the Ax-4 crew on-orbit pic.twitter.com/1eFanl2lWo
— SpaceX (@SpaceX) July 15, 2025
এবার বেশ কিছুদিন ধরে চলবে রিহ্যাবিলিটেশন
শুভাংশু শুক্লা ১৮ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন। স্পেস স্টেশনে মাধ্যাকর্ষণের কোনও প্রভাব নেই(SpaceX Dragon Ax-4 mission)। ফলে পৃথিবীতে ফের ওজনের অনুভূতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগবে। তাই নিয়মমাফিক তাঁকে রিহ্যাব প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
মহাকাশচারীদের কীভাবে রিহ্যাব করানো হয়?
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (ISS) থেকে ফেরার পর মহাকাশচারীদের দেহে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে ভরশূন্য পরিবেশে থাকার ফলে তাঁদের পেশি ও হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। রক্তচাপেরও পরিবর্তন হয়। তাই পৃথিবীতে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের রিহ্যাব প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এই রিহ্যাব প্রক্রিয়ায় মহাকাশচারীদের প্রথমে পুঙ্খানুপুঙ্খ শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। তার পর ধাপে ধাপে হাঁটা, দাঁড়ানো, ব্যালেন্স বজায় রাখা, ইত্যাদি প্র্যাকটিস করানো হয়। ফিজিওথেরাপি ও বিশেষ ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশি ও হাড়ের শক্তি ফেরানো হয়। কখনও কখনও বিশেষ ডায়েটও দেওয়া হয়।
শুভাংশু শুক্লা মহাকাশে ১৮ দিন ছিলেন। ফলে তাঁর রিহ্যাবের প্রক্রিয়া অপেক্ষাকৃত দ্রুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু যেক্ষেত্রে মহাকাশচারীরা দীর্ঘ কয়েক মাস পর ফেরেন, সেক্ষেত্রে রিহ্যাবে অনেকটাই বেশি সময় লাগে।