South Korea President দক্ষিণ কোরিয়ায় জারি করা হল সামরিক আইন। জানালেন সেই দেশের প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলগুলি দেশের সরকারকে পঙ্গু করে দিতে চাইছে। তারা উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল, দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিতে চাইছে। টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণে একথা জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। এদিকে এই ঘোষণার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
সেই দেশের প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল তার ভাষণে বলেন, 'উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করতে এবং দেশবিরোধী উপাদান নির্মূল করতে আমি জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা করছি।' দেশের স্বাধীন ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা রক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আগামী বছরের বাজেট নিয়ে ইউনের পিপলস পাওয়ার পার্টি এবং বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে বিরোধ চরমে। তার মধ্যেই এই ঘোষণা। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী আইন প্রণেতারা সম্প্রতি একটি ছোটো বাজেটের প্রস্তাব অনুমোদন করেন। তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল 'আমাদের জাতীয় পরিষদ অপরাধীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। এদের লক্ষ্য হল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশকে পঙ্গু করে দেওয়া।'
বিরোধীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন প্রেসিডেন্ট ইউন। তাঁর দাবি, বিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো মাদক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই এবং জননিরাপত্তার বাজেট কমিয়ে দিতে চাইছে। এর ফলে সেই দেশে মাদকের কারবার বাড়বে। বিরোধীদের দেশ বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগও করেছেন সেই দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
ইউন ২০২২ সালের মা মাস থেকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। সেই থেকে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পর তিনি বলেছিলেন, 'আমি যত দ্রুত সম্ভব দেশবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করব। দেশকে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিয়ে আসব।' কয়েক মাস আগে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল অভিযোগ করেছিল, প্রেসিডেন্ট ইউন ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।