Sri Lanka Power Outage: আবার লঙ্কাকাণ্ড! গোটা শ্রীলঙ্কা অন্ধকারে ডুবল, এক বানরের জন্য?

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গোটা শ্রীলঙ্কা জুড়ে লোডশেডিং হয়। না, কোনও জ্বালানি সংকট বা প্রযুক্তিগত কারণে হয়নি। ঘটনার পিছনে রয়েছে এক বাঁদর!

Advertisement
আবার লঙ্কাকাণ্ড! গোটা শ্রীলঙ্কা অন্ধকারে ডুবল, এক বানরের জন্য?Sri Lanka Power Outage:গোটা শ্রীলঙ্কায় লোডশেডিং ঠিক এই একটি কারণে! জানলে চমকে উঠবেন

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গোটা শ্রীলঙ্কা জুড়ে লোডশেডিং হয়। না, কোনও জ্বালানি সংকট বা প্রযুক্তিগত কারণে হয়নি। ঘটনার পিছনে রয়েছে এক বাঁদর!

শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার সকালে সেদেশের একটি ইলেকট্রিক গ্রিড সাব-স্টেশনে ঢুকে পড়ে এক বাঁদর। তারপরই সকাল ১১:৩০টা (০৬:০০ GMT) থেকে গোটা দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়। তিন ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি বিদ্যুৎ ফেরেনি।

শ্রীলঙ্কার জ্বালানি মন্ত্রী কুমারা জয়াকোডি জানান, 'একটি বাঁদর আমাদের গ্রিড ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে আসায় সিস্টেম ইমব্যালান্স(ভারসাম্যহীনতা) তৈরি হয়েছে।' ঘটনাটি দক্ষিণ কলম্বোর এক ইলেকট্রিক গ্রিড সাব-স্টেশনে ঘটে।

মন্ত্রী জানান, ইঞ্জিনিয়াররা দ্রুত পরিষেবা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তবে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরে এলেও, কবে সারাদেশে পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে তা স্পষ্ট নয়।

সেই সঙ্গে সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড (CEB)-ও তাদের ওয়েবসাইটে একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, 'আমরা যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। এই সমস্যার জন্য আমরা দুঃখিত, ধৈর্য ধরার জন্য ধন্যবাদ।' তবে CEB এই ঘটনার প্রকৃত কারণ উল্লেখ করেনি।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পরই নেটিজেনরা Reddit-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে এই নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, 'গোটা দেশেই কি বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে?' পরে দেখা যায়, কলম্বো, গলে সহ আরও অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। সেখানকার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরাই এই বিষয়ে জানান।

এদিকে শ্রীলঙ্কায় কিন্তু বেশ গরম। সেখানে তাপমাত্রা ৩০°C ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড গরমে বহু মানুষ হাঁসফাস করতে শুরু করেন। সমুদ্র পরিবেষ্টিত শ্রীলঙ্কায় আর্দ্রতাও অনেকটাই বেশি। ফলে যা তাপমাত্রা, তার তুলনায় আরও ৫-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম অনুভূত হয়। ফলে এই গরমের মধ্যে দেশজুড়ে লোডশেডিং হলে পরিস্থিতি কেমন হবে তা সহজেই অনুমেয়।

এছাড়া, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যাও শুরু হয়। জলের সংকটও দেখা দেয়। সম্ভবত কারেন্ট না থাকায় বৈদ্যুতিক পাম্প বন্ধ হয়ে যায়।

শ্রীলঙ্কাবাসীর একাংশের দাবি, শুধু এই রবিবারই নয়। এর আগেও গত কয়েক মাসে শনি-রবিবারে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটছে। এর বিরুদ্ধে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement