
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ে ভয়াবহ ছুরি হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জনবহুল এলাকায় আচমকা হামলায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েক জন। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় গোটা শহর জুড়ে।
ঘটনাটি ঘটে তাইপেইয়ের একটি ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনের কাছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রথমে একটি ব্যাগ থেকে একের পর এক ধোঁয়া তৈরির গ্রেনেড (স্মোক বোমা) রাস্তায় ছুড়ে দেন। হঠাৎ ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। সেই সুযোগেই ছুরি হাতে পথচারীদের উপর এলোপাথাড়ি হামলা চালাতে শুরু করে সে।
জানা গিয়েছে, প্রথমে তাইপেইয়ের প্রধান রেলস্টেশনের সামনে স্মোক বোমা ছোড়ে হামলাকারী। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে কাছের একটি ভিড়ঠাসা সাবওয়ে স্টেশনের দিকে দৌড়তে থাকে। পথে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই ছুরি দিয়ে আঘাত করে। মুহূর্তের মধ্যেই গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হামলাকারী রেলস্টেশনের সামনে ধোঁয়ার গ্রেনেড ছুড়ে মেট্রো স্টেশনের দিকে পালায় এবং সেখানেই ছুরি হামলা চালায়। অভিযুক্তের পরিচয় সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। শুধু জানা গিয়েছে, তার পদবি ‘চ্যাং’।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলাকারীর বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অপরাধমূলক অভিযোগ ছিল। তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি ছিল। এর আগেও একবার তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে তাইওয়ানের মতো শান্ত দেশে এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা অত্যন্ত বিরল বলেই মনে করছে প্রশাসন।
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। ঘটনার পর তাইপেইয়ের সমস্ত মেট্রো স্টেশন, রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে এই হামলা, এর পিছনে কোনও জঙ্গি যোগ আছে কি না, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে এখনও আতঙ্কের পরিবেশ তাইপেই জুড়ে।