পতনের মুখে বাশার আল আসাদ সরকার? হোমস শহরের দখল নিয়ে দামাস্কাসকে ঘিরল বিদ্রোহীরাসিরিয়ার বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকটি শহর দখল করে রাজধানী দামাস্কাসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শনিবার আসাদের বাহিনী হোমস শহর থেকে পালিয়ে গিয়েছে। যার পরেই হোমসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা। দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমসের দখল প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা। যাকে বিরোধী বিদ্রোহীরা ক্ষমতাচ্যুত করার অঙ্গীকার করেছে।
আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরাতে গত সপ্তাতেই হামলা শুরু করে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীরা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে। প্রথমে তারা আলেপ্পো দখল করে, এরপর তারা দ্রুত অগ্রসর হয়। বেশ কয়েকটি এলাকা দখল করে, যেগুলি আসাদের দখলে ছিল এবং বিরোধীদের আগে দমন করা হয়েছিল। হোমস শহর হল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসকে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের সঙ্গে সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ চৌরাস্তা, যেটি এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরের পতন রাজধানীকে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। হোমস হল আসাদের আলাউইট সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। রাশিয়ার মূল সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে এখানে।
শহর থেকে সেনা সরে যাওয়ার পরেই রাস্তায় নেমে আসেন সেখানকার নাগরিকরা। তাঁদের মুখে স্লোগান ওঠে, 'আসাদ চলে গেছে, হোমস মুক্ত এবং সিরিয়া দীর্ঘজীবী হোক।' রয়টার্স জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা শূন্যে গুলি ছুঁড়ে শহর দখলের জন্য সেলিব্রেট করে। তারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলেছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে যে বিদ্রোহীরা সেন্ট্রাল জেলও দখল করে নিয়েছে। বনিদীদের মুক্ত করেছে। জেলের কর্মীরা নথি ধ্বংস করার পরে অফিস ছেড়ে পালিয়েছে। এর আগে বিদ্রোহীরা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দারা দখল করে নেয়। এই শহরটি বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিদ্রোহের জন্মস্থান। দারা সিরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর, গত সপ্তাহে বাশার আল-আসাদ সরকারকে সমর্থনকারী সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের কাছে হেরে পালিয়ে যায়।