
Earthquake Today: মঙ্গলবার সকালে তিব্বতের ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক ঘণ্টার মধ্যে মোট ৬ বার কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.১(earthquake today magnitude)। নেপাল, ভুটান ও ভারতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, তিব্বত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। চিনের জিনহুয়া সংবাদসংস্থার খবর, ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে সেদেশে। আহত ৬২। উদ্ধারকার্য এগনোর সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পের এপিসেন্টারের কাছে বহু ঘরবাড়ি, বিল্ডিং ধসে পড়েছে। ডিংরি এলাকা ও তার আশেপাশে যথেষ্ট তীব্র কম্পন অনুভূত হয়।
উল্লেখ্য, ভারত জুড়েও বিভিন্ন স্থানে এদিন ভূমিকম্পের প্রভাব পড়ে(earthquake today in india)। দিল্লি, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়। ফলে ভূমিকম্প যে কতটা তীব্র ছিল, তা সহজেই অনুমেয়।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ভূমিকম্প অনুভূত হতেই আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয়রা ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসেন।
কাঠমাণ্ডুর বাসিন্দা মীরা অধিকারী সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানান, 'আমি ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিছানাটা কাঁপতে শুরু করল। প্রথমে ভেবেছিলাম আমার ছেলে বিছানায় নড়াচড়া করছে। তাই অতটা খেয়াল করিনি। কিন্তু পরে যখন দেখলাম জানলাও থরথর করে কাঁপছে, তখনই বুঝতে পারলাম যে ভূমিকম্প হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে খোলা জায়গায় চলে আসি।'
ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজির ডেটা বলছে, নেপাল তিব্বত সীমান্তে জিজাং বলে একটি জায়গা আছে- সেখানেই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার। সকাল ৬.৩৫-এ সেখানে তীব্র কম্পন শুরু হয়। রিখটার স্কেলে ৭.১ মোটেও কম নয়। এদিকে চিনের হিসাব অনুযায়ী, শিগাত্সে শহরে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। এই শিগাত্সেই তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
ভূমিকম্পের পর দুইবার আফটারশক আসে। সেগুলিও রিখটার স্কেলে ৪.৭ এবং ৪.৯ মাত্রার ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ও ইউরেশিয়া প্লেটের সরে আসার ফলেই এই ভূমিকম্প। উল্লেখ্য, এই দুই টেকটনিক প্লেটের কাছে সরে এসে সংঘর্ষের ফলেই বহু বছর ধরে হিমালয় পর্বতমালা গঠিত হয়েছে। ফলে এই জায়গাটি ভীষণ ভূমিকম্পপ্রবণ।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৫ বছরে সিগাস্তে শহরের ২০০ কিলোমিটারের আশেপাশে ২৯ বার রিখটার স্কেলে ৩-এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। তবে মঙ্গলবারের ভূমিকম্পই গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র ছিল।