Top Lashkar Operative Saifullah: জঙ্গি সইফুল্লার মৃত্যুতে কাঁদছে পাকিস্তান, লস্কর নেতার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য VIRAL

ভারত নিকেশ করছে লস্করের অন্যতম শীর্ষনেতা সইফুল্লা খালিদকে। ভারতে একাধিক বড় বড় হামলার পরিকল্পনায় হাত ছিল তার। সেই কুখ্যাত জঙ্গি নেতার শেষকৃত্যের আয়োজন করল পাকিস্তান। তার দেহে জড়ানো ছিল পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা।

Advertisement
জঙ্গি সইফুল্লার মৃত্যুতে কাঁদছে পাকিস্তান, লস্কর নেতার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য VIRALTop Lashkar Operative Saifullah
হাইলাইটস
  • কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি সইফুল্লার শেষকৃত্য হল পাকিস্তানে
  • আয়োজন করা হয়েছিল নমাজ-এ-জানাজার
  • জাতীয় পতাকায় মোড়া ছিল জঙ্গি নেতার দেহ

কুখ্যাত লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষনেতা সইফুল্লা নিকেশ হয়েছে। আর সেই জঙ্গি নেতার শেষকৃত্য সাড়ম্বরে পালিত হল পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মাটিতে। আয়োজন করা হল নমাজ-এ-জানাজা। উপস্থিত ছিল লস্করের একাধিক সদস্য। 

এখানেই শেষ নয়, সইফুল্লার মরদেহ পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায় মোড়া হয়। এক এক করে লস্কর জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা মরদেহের সামনে জানাজার নমাজ পাঠ করেন। কার্যত 'শহিদ'-এর মর্যাদা দেওয়া হল কুখ্যাত এই জঙ্গি নেতাকে। 

এই সইফুল্লা ছিল লস্কর-ই-তৈবার নেপাল মডিউলের ইনচার্জ। পাকিস্তানে থেকে সে লস্কর গোষ্ঠীর জন্য নিয়োগের কাজ দেখত। সন্ত্রাসবাদী হিসেবে যুবকদের রিক্রুট করত সে। ভারতের মাটিতে একাধিক জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ নেতা সইফুল্লা খালিদ। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে সে লুকিয়ে ছিল। সূত্রের খবর, সিন্ধের বাদিন জেলার মাতলি শহরে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা সইফুল্লার উপর হামলা চালায়। সইফুল্লাকে সংগঠনের তরফে আগে থেকেই চলাফেরায় সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তার নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। তবে রবিবার মাতলি শহরের বাড়ি থেকে বেরনোর পরেই এক চৌমাথায় সে দুষ্কৃতীদের নিশানায় পড়ে। গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসে হামলা, ২০০৬ সালে নাগপুরে আরএসএস সদর দফতরে হামলা এবং ২০০৮ সালে উত্তরপ্রদেশের রামপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলার সঙ্গে তার সরাসরি যোগ ছিল। ‘বিনোদ কুমার’ ছদ্মনামে সাইফুল্লা নেপালে দীর্ঘদিন বসবাস করত। সেখানকার এক স্থানীয় মহিলা নাগমা বানুকে সে বিয়ে করে। নকল পরিচয়ে লুকিয়ে থেকেই সে লস্করের হয়ে কাজ চালিয়ে যেত। নেপাল থেকেই সে জঙ্গি নিয়োগ এবং রসদ জোগাড়ের কাজ পরিচালনা করত বলে মনে করা হয়। নিজেকে গোপন রেখে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করত। টেরর ফান্ডিং, সন্ত্রাসের কাজের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং সরবরাহ থেকে শুরু করে তরুণ প্রজন্মের মগজ ধোলাই করে, যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত করা এবং তাদের দিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ করানো, লস্করের হয়ে এই সমস্ত কাজকর্মই দেখত সইফুল্লা। 

 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement