scorecardresearch
 

Bangladesh Quota Protest: ভাল নেই বাংলাদেশ, এবার ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ, রক্ত-মৃত্যু-সেনা-র‍্যাব-আগুন

সরকারি চাকরির সংরক্ষণে সংস্কারের দাবিতে অশান্ত বাংলাদেশ। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশ এবং ছাত্র লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯। গতকালের মতো শুক্রবারও ওপার বাংলার পরিস্থিতি তপ্ত।

Advertisement
বাংলাদেশে বিক্ষোভ অব্যাহত। বাংলাদেশে বিক্ষোভ অব্যাহত।
হাইলাইটস
  • সরকারি চাকরির সংরক্ষণে সংস্কারের দাবিতে অশান্ত বাংলাদেশ।
  • মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯।
  • শুক্রবারও ওপার বাংলার পরিস্থিতি তপ্ত।

সরকারি চাকরির সংরক্ষণে সংস্কারের দাবিতে অশান্ত বাংলাদেশ। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশ এবং ছাত্র লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯। গতকালের মতো শুক্রবারও ওপার বাংলার পরিস্থিতি তপ্ত। অশান্তির আবহে সে দেশে ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হল। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। 

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের জেরে শুক্রবার ঢাকার রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। গত কয়েক দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় জখমের সংখ্যা অনেক। 

বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও বাংলাদেশে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ডাকে কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি চলছে। অশান্তির ঘটনা রুখতে সারা দেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩০০ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকাতেই মোতায়েন করা হয়েছে ৭৫ প্লাটুন সদস্য। 

আরও পড়ুন

শুক্রবারও ঢাকা-সহ সে দেশের বিভিন্ন শহরে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে। হেলিকপ্টারে টহলদারি চালানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। 

বাংলাদেশে দফায় দফায় সংঘর্ষ।
বাংলাদেশে দফায় দফায় সংঘর্ষ।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্র-যুবদের আন্দোলন ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ ঘটছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। যার জেরে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার জেরে ঢাকা মেট্রো পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। বিঘ্নিত মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও। 

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'আমার বিশ্বাস, আমাদের ছাত্র সমাজ সর্বোচ্চ আদালত থেকে ন্যায় বিচার পাবে। তাদের হতাশ হতে হবে না। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট চালিয়েছে, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আমি আরও ঘোষণা করছি, হত্যাকাণ্ড-সহ যে সকল অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে সেই বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।' আন্দোনকারী পড়ুয়াদের প্রতি হাসিনার বক্তব্য, 'সরকার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। আদালতে শুনানির তারিখ রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের সুযোগ রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে সকলকে অপেক্ষা করার অনরোধ করছি।'

Advertisement

Advertisement