ফের শুল্ক হুমকি ট্রাম্পের। এ বার চিনা পণ্যের উপর ১৫৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, যদি জিংপিং সরকার দ্রুত বাণিজ্য চুক্তি না করে, তাহলে ১৫৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হবে। যার ফলে আবার নতুন করে দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ বাড়ল বলেই মনে করছেন বিশ্ব রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছিলেন ট্রাম্প। সেই সময় তিনি জানান, বেজিং আমাদের প্রতি সবসময়ই সম্মান দেখিয়েছে। তবে কোনও অন্যায্য বাণিজ্য ওয়াশিংটন সহ্য করবে না। তার পরই তিনি ১৫৫ শতাংশ শুল্ক লাগানোর হুমকি দেন।
কী বলেন ট্রাম্প?
এ দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমার মনে হয় চিন আমাদের খুবই সম্মান দিয়েছে। তারা শুল্কের মাধ্যমে আমাদের অনেক টাকা দিচ্ছে। আপনারা জানেন এখন তারা ৫৫ শতাংশ শুল্ক দিচ্ছে। আর এটা অনেকটা টাকা।' এর পরই আবার অন্য সুরে কথা বলতে শুরু করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, 'এখন চিন ৫৫ শতাংশ শুল্ক দিচ্ছে। এটা বেড়ে ১৫৫ শতাংশ (শুল্ক) হতে পারে যদি না ১ নভেম্বরের মধ্যে কোনও বাণিজ্য চুক্তি হয়।'
বারবার ট্যারিফকে হাতিয়ার করেছেন ট্রাম্প
ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার মসনদে বসার পর থেকেই শুল্ক যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, বহু দেশ আমেরিকার পণ্যের উপর বিরাট শুল্ক চাপায়। এতে আমেরিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর সেই কারণেই তিনি পাল্টা শুল্ক চাপাচ্ছেন।
আর এই শুল্ক যুদ্ধে তিনি চিন থেকে শুরু করে ব্রাজিল, ভারত সহ একাধিক দেশকে বিদ্ধ করেছেন। যার ফলে টলে গিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্যের ভারসাম্য। আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। আর এমন পরিস্থিতিতে আরও একবার শুল্ক যুদ্ধে নেমে পড়লেন ট্রাম্প।
এ বার তাঁর আক্রমণের কেন্দ্র চিন। চিনের উপর তাঁর গোঁসা রেয়ার আর্থ মিনারেল বা বিরল খনিজ নিয়ে। আসলে চিন এই ধরনের খনিজের উপর বেশ কিছু বাধানিষেধ এনেছে। সেটা পছন্দ হয়নি ট্রাম্পের। তাই তিনি নতুন করে শুল্ক যুদ্ধে নেমে পড়েছেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
চিনা টাকায় দাম মেটাচ্ছে ভারত
ও দিকে আবার ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি রাশিয়ার থেকে কেনা তেলের দাম মেটাচ্ছে চিনা টাকায়। এতে আবার ক্ষতির মুখে পড়ছে মার্কিন ডলার। এই মুদ্রার একছত্র আধিপত্য পড়ছে প্রশ্নের মুখে। আর সেটাও ট্রাম্পকে সমস্যায় ফেলছে বলেই অভিমত ওয়াকিবহল মহলের।