অদৃশ্য থেকে বহন করবে পরমাণু বোমা, ট্রাম্পের গোপন অস্ত্র দেখে ভয়ে কাঁপছে চিন-রাশিয়া

নাম, AGM-181 LRSO। কাজ- পরমাণু অস্ত্র বহন করা। তাও আবার গোপনে। সবার নজর বাঁচিয়ে। এতদিন পর্যন্ত এই অস্ত্র সম্পর্কে ধারণা ছিল না গোটা বিশ্বের। আমেরিকা যে গোপনে গোপনে কী অস্ত্র বানিয়ে ফেলেছে তা জানতেই পারেনি গোটা বিশ্ব।

Advertisement
অদৃশ্য থেকে বহন করবে পরমাণু বোমা, ট্রাম্পের গোপন অস্ত্র দেখে ভয়ে কাঁপছে চিন-রাশিয়া  trump secret nuclear machine
হাইলাইটস
  • নাম, AGM-181 LRSO, কাজ- পরমাণু অস্ত্র বহন করা
  • আমেরিকা সেই অস্ত্র ২০৩০ এর মধ্য়ে তৈরি করে ফেলবে

নাম, AGM-181 LRSO। কাজ- পরমাণু অস্ত্র বহন করা। তাও আবার গোপনে। সবার নজর বাঁচিয়ে। এতদিন পর্যন্ত এই অস্ত্র সম্পর্কে ধারণা ছিল না গোটা বিশ্বের। আমেরিকা যে গোপনে গোপনে কী অস্ত্র বানিয়ে ফেলেছে তা জানতেই পারেনি গোটা বিশ্ব। তবে এবার তা সামনে চলে এল। সম্প্রতি এক প্লেনস্পটার্স এই তথ্য সামনে এনেছেন। যা নিয়ে হইচই গোটা বিশ্বে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্ত্র রীতিমতো ভয়ে রাখবে চিন ও রাশিয়াকে। 

 AGM-181 LRSO পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে। এটি এমন এক অস্ত্র যা দূর থেকেই শত্রুর অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে। কোনও যুদ্ধ বিমানকে বিপদে না ফেলেই বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। 

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় অর্থাৎ ২০১৭ থেকে ২০২১ এর মধ্যে এই অস্ত্রকে সুসজ্জিত করা হয়। এর ক্ষমতা বাড়ানো হয়। এটি অনেক দূর থেকে শত্রুর অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই অস্ত্র সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হবে। ২০২৫ সালের জুন মাসে এর প্রথম ছবি সামনে আসে।  সেবার একটি B-52 বোমারু বিমানের নীচে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। শীঘ্রই, এটি B-21 Raider (আমেরিকার নতুন স্টিলথ বোমারু বিমান) তেও মোতায়েন করা হবে।

বৈশিষ্ট্য - এই ক্ষেপণাস্ত্রটি স্টিলথ, অর্থাৎ অদৃশ্য। রাডারে তা ধরা পড়বে না। 
অর্থাৎ এই অস্ত্রটি অদৃশ্য থেকে নীরবে অন্য দেশে গিয়ে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। পুরোনো যে ক্ষেপনাস্ত্রগুলো আছে, তার থেকে এটা অনেক উন্নত।  এটি শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (IADS) এড়াতে পারে। অর্থাত্, এটি ৫০০ মাইল উপরে থেকে গোপনে আক্রমণ করবে সক্ষম। 

LRSO কীভাবে কাজ করে? 

এটি শত্রুর চোখ এড়িয়ে কম উচ্চতায় উড়ে যেতে পারে। GPS এবং ম্যাপিং ব্যবহার করে ও সঠিক পথ বেছে নেয়। লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর পর তা ফাটে। ছোটো বা বড় যে কোনও বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। 

ট্রাম্পের আগের মেয়াদে এই অস্ত্রের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল। বাজেট গোপন রাখা হয়েছিল। প্রথম চুক্তিটি ২০২০ সালে রেথিয়নকে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ফ্লাইট পরীক্ষা হয় ২০২৫ সালে। প্রথম ছবি জুন মাসে ফাঁস হয়। যদিও পেন্টাগন বলেছে, এটি পুরানো ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে আপগ্রেড করবে। 
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement