USA vs China: ব্যালেন্স করার চেষ্টা? এবার রুশ তেলা কেনা নিয়ে চিনকেও হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে এবার ট্রাম্পের নিশানায় চিন। আগামী নভেম্বর থেকেই চিনা পণ্যের উপর বাড়তি কর লাগু করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ, নতুন করে বিশ্বের দুই অন্য়তম বড় শক্তির মধ্যে ট্যারিফ যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে।

Advertisement
ব্যালেন্স করার চেষ্টা? এবার রুশ তেলা কেনা নিয়ে চিনকেও হুঁশিয়ারি ট্রাম্পেরএবার রুশ তেল কেনায় চিনকেও চাপ দিতে শুরু করছে আমেরিকা।
হাইলাইটস
  • রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে এবার ট্রাম্পের নিশানায় চিন।
  • আগামী নভেম্বর থেকেই চিনা পণ্যের উপর বাড়তি কর লাগু করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
  • অর্থাৎ, নতুন করে বিশ্বের দুই অন্য়তম বড় শক্তির মধ্যে ট্যারিফ যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে।

রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে এবার ট্রাম্পের নিশানায় চিন। আগামী নভেম্বর থেকেই চিনা পণ্যের উপর বাড়তি কর লাগু করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ, নতুন করে বিশ্বের দুই অন্য়তম বড় শক্তির মধ্যে ট্যারিফ যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে।

গত অগাস্টে ভারতকেও ঠিক একইভাবে টার্গেট করেছিলেন ট্রাম্প। রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস কেনার জন্য ভারতের উপর চাপানো হয়েছিল ২৫ শতাংশ ট্যারিফ। পরে সেটি বেড়ে হয় ৫০ শতাংশ। এবার চিনের ক্ষেত্রেও সেই একই পথে হাঁটছে হোয়াইট হাউজ। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চিনের সম্পর্কের যথেষ্ট প্রমাণ আছে। তাই 'শাস্তি' নিশ্চিত।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেই সূত্রপাত
বেসেন্টের দাবি, ইউক্রেন সরকারের কাছে এমন ছবি ও তথ্য আছে, যা প্রমাণ করছে; রুশ ড্রোনে চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার হচ্ছে। এই প্রমাণই এখন বিশ্বের কাছে দেখিয়ে বেড়াচ্ছে আমেরিকা। তাঁদের মতে, রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রে জ্বালানি দিচ্ছে চিন। রাশিয়া যে তেল রফতানি করছে, তার প্রায় ৬০ শতাংশই যাচ্ছে চিনে। এমনকি ইরান থেকেও ৯০ শতাংশ তেল-গ্যাস কিনছে বেজিং।

ইউরোপকেও যুক্ত হতে বলছে আমেরিকা
অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট আরও জানান, শুধু আমেরিকাই নয়, ইউরোপীয় দেশগুলোকেও এই পদক্ষেপে অংশ নিতে হবে। তিনি বলেন, “চিনের অর্থনৈতিক আগ্রাসন থামাতে সবাইকে একসঙ্গে আসতে হবে।”

চিনের কড়া জবাব
তবে চিনও চুপ নেই। বেজিংয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা লড়াই চায় না, তবে ভয়ও পায় না। প্রয়োজনে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে চিন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই চিন বিকল্প জ্বালানি সরবরাহের খোঁজ শুরু করেছে।

ট্রাম্পের বক্তব্য 
সম্প্রতি ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, 'চিন বাণিজ্যের নামে অর্থনৈতিক হামলা চালাচ্ছে। তাদের একাধিক পণ্যে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সমান।' তিনি আরও জানান, ১ নভেম্বর থেকে চিনের সব ধরনের পণ্যের উপর ১০০ শতাংশ ট্যারিফ বসানো হবে।

বিশেষজ্ঞদের মত
অর্থনীতিবিদদের ধারণা, নতুন এই সিদ্ধান্তে বিশ্ববাজারে বড়সড় প্রভাব পড়বে। তেলের দাম বাড়তে পারে। আমেরিকা ও চিনের টানাপোড়েন আবারও অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করবে।

Advertisement

একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন, অন্যদিকে বাড়ছে রাশিয়া-চিন-আমেরিকা দ্বন্দ্ব। ফলে বিশ্বজুড়ে এখন চাপে বাণিজ্য ও তেলের বাজার। সবাই তাকিয়ে, ট্রাম্পের এই ‘ট্যারিফ যুদ্ধ’ কোথায় গিয়ে শেষ হয়।

POST A COMMENT
Advertisement